ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন নেমে এসেছে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়

মোবাইল ব্যাংকিংয়

অর্থনীতি  ডেস্ক: তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত শহর কিংবা গ্রামে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে অর্থ লেনদেনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল ব্যাংকিং।

চলতি বছরের জুলাই মাসে রেকর্ড ৬৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ডিজিটাল এ মাধ্যমে। কিন্তু পরের মাস আগস্টে ব্যাপক হারে লেনদেন কমে গেছে। ওই মাসে লেনদেন নেমে এসেছে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়। যা আগের মাসের চেয়ে ৩৪ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) আগস্ট মাসের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরও জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সময়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ সরাসরি সাক্ষাতে নগদ লেনদেনের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশলেস লেনদেন বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রদান করা হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটায় লেনদেন ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছিল।

এখন করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক স্বাভাবিক। পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী মানুষের কেনাকাটা কমে গেছে। সরকারি বিভিন্ন পেমেন্টও তেমন হয়নি। সেইসঙ্গে মোবাইলে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে।

সব মিলিয়ে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে কম হয়েছে। তবে লেনদেন কমলেও আগের মাসের চেয়ে আগস্টে গ্রাহক, এজেন্ট সংখ্যা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে।

২০২০ সালের জুলাই মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজারে। যা তার আগের মাস মের চেয়ে দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

জানা গেছে, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তথ্য বলছে, আগস্টে এমএফএস সেবার লেনদেনের সঙ্গে সেবায় সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

আগস্ট মাস শেষে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৭৮ হাজারে। আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৪৩০ জনে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এমএফএস এ গেল আগস্টে মোট ২৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫টি লেনদেনের মাধ্যমে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৩৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কম। জুলাইয়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা ছিল এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে।

আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে উত্তোলন করেছে ১২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।

যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে টাকা জমা পরিমাণ কমেছে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উত্তোলন কমেছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। জুলাইয়ে টাকা জমা হয়েছিল ১৭ হাজার ৫৮ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ১৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে এমএফএসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম।

চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।

মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ ৭৬ শতাংশ কমে এক হাজার ৬৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

আগস্টে বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯০৮ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে এক হাজার ৬০ কোটি টাকা।

সরকারি পরিশোধ মাসের ব্যবধানে ৯৮ শতাংশ কমে ১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়।

এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এদিকে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরও জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একইসঙ্গে লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আগে যেখানে দিনে ২ বারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যেতো। এখন তা বাড়িয়ে দিনে ৫ বার সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যাবে এবং মাসে ২৫ বারে করতে পারবে ২ লাখ টাকা।

আর দিনে ৫ বার সর্বোচ্চ ক্যাশআউট করা যাবে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ২০ বার দেড় লাখ টাকা ক্যাশআউট করা যাবে। পাশাপাশি একজন গ্রাহক তার ব্যক্তি মোবাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা স্থিতি রাখতে পারবেন।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন নেমে এসেছে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়

আপডেট সময় ০৫:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

অর্থনীতি  ডেস্ক: তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত শহর কিংবা গ্রামে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে অর্থ লেনদেনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল ব্যাংকিং।

চলতি বছরের জুলাই মাসে রেকর্ড ৬৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ডিজিটাল এ মাধ্যমে। কিন্তু পরের মাস আগস্টে ব্যাপক হারে লেনদেন কমে গেছে। ওই মাসে লেনদেন নেমে এসেছে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়। যা আগের মাসের চেয়ে ৩৪ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) আগস্ট মাসের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরও জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সময়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ সরাসরি সাক্ষাতে নগদ লেনদেনের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশলেস লেনদেন বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রদান করা হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটায় লেনদেন ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছিল।

এখন করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক স্বাভাবিক। পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী মানুষের কেনাকাটা কমে গেছে। সরকারি বিভিন্ন পেমেন্টও তেমন হয়নি। সেইসঙ্গে মোবাইলে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে।

সব মিলিয়ে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে কম হয়েছে। তবে লেনদেন কমলেও আগের মাসের চেয়ে আগস্টে গ্রাহক, এজেন্ট সংখ্যা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে।

২০২০ সালের জুলাই মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজারে। যা তার আগের মাস মের চেয়ে দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

জানা গেছে, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তথ্য বলছে, আগস্টে এমএফএস সেবার লেনদেনের সঙ্গে সেবায় সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

আগস্ট মাস শেষে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৭৮ হাজারে। আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৪৩০ জনে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এমএফএস এ গেল আগস্টে মোট ২৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫টি লেনদেনের মাধ্যমে ৪১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৩৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কম। জুলাইয়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা ছিল এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে।

আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে উত্তোলন করেছে ১২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।

যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে টাকা জমা পরিমাণ কমেছে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উত্তোলন কমেছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। জুলাইয়ে টাকা জমা হয়েছিল ১৭ হাজার ৫৮ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করেছে ১৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে এমএফএসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম।

চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।

মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ ৭৬ শতাংশ কমে এক হাজার ৬৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

আগস্টে বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯০৮ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে এক হাজার ৬০ কোটি টাকা।

সরকারি পরিশোধ মাসের ব্যবধানে ৯৮ শতাংশ কমে ১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়।

এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এদিকে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরও জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একইসঙ্গে লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আগে যেখানে দিনে ২ বারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যেতো। এখন তা বাড়িয়ে দিনে ৫ বার সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যাবে এবং মাসে ২৫ বারে করতে পারবে ২ লাখ টাকা।

আর দিনে ৫ বার সর্বোচ্চ ক্যাশআউট করা যাবে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ২০ বার দেড় লাখ টাকা ক্যাশআউট করা যাবে। পাশাপাশি একজন গ্রাহক তার ব্যক্তি মোবাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা স্থিতি রাখতে পারবেন।