ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

আগাম সিম চাষে লাভবান নওগাঁর চাষিরা

সিম চাষ

কৃষি ডেস্কঃ নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম নতুন সিম। আগাম জাতের সিমের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা।

এ সিমের আবাদ কৃষকদের কাছে ভাদ্রা সিম (ভাদ্র মাসের সিম) নামে পরিচিত। কৃষকরা জানিয়েছেন, সিমের পোকা দমন করতে গিয়ে লাভের একটি অংশ চলে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে সিমের আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের সিমের মধ্যে কার্তিকা, কাজলা ও চালতা নামে পরিচিত।

সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে সিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা ফুল। আর কিছু কিছু শীষে উঁকি দিচ্ছে তরতাজা সিম। আগাম জাতের সিমের আবাদের জন্য জৈষ্ঠ্য মাসে জমি প্রস্তুত করে রোপন করতে হয়।

সদর উপজেলা বর্ষাইল ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামের চাষি আজিজার মন্ডল বলেন, তিনি ৮কাঠা জমিতে ভাদ্র্রা সিমের আবাদ করেছেন।

এ পরিমাণ জমিতে সিমের আবাদ করতে তার প্রায় বাঁশ চার হাজার টাকা, নিড়ানি খরচ এক হাজার, ঔষধ ৮শ টাকাসহ প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

আগাম জাতের সিম পাবো বলে জৈষ্ঠ্য মাসে লাগানো হয়েছে। ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত সিম উঠানো হবে। আগামি ৮-১০ দিনের মধ্যে সিম উঠানো শুরু করবো। প্রথম দিকে সিম সাড়ে তিন থেক চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়।

যখন সিম উঠা শুরু হয় তখন দাম একটু কম হয়। তারপরও সর্বনিম্ন ৪শ থেকে ৫শ টাকা মণ বিক্রি হয়। প্রতি সপ্তাহে এক মণ করে সিম উঠবে। সে হিসেবে মাসে চার মণ। আর দাম পাওয়া যাবে প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

কেশবপুর গ্রামের চাষি সিরাজ বলেন, গত চারদিন আগে খেত থেকে পাঁচ কেজি সিম তুলেছেন।

পাইকারী বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা কেজি। বাজারে সিমের পরিমাণ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি। আর ভালো দামের আশায় আগাম জাতের সিমের আবাদ করা হয়।

ঝিকড়া গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন ও আবুল কাশেমসহ কয়েকজন বলেন, তারা আগাম জাতের লাল সিমের আবাদ করেছেন।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিম উঠা শুরু হবে। তবে এবারে ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে সিম গাছ পচে যাওয়া কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও আশা করছেন ভালো দাম পাবেন।

নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বর্ষাইল, র্কীত্তিপুর ও বক্তারপুর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ সবজির আবাদ হয়ে থাকে।

ধানের পরিবর্তে তারা বেশি লাভের আশায় সবজির আবাদ করে থাকেন। আগাম সিমের আবাদ করায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পানি নামতে শুরু করেছে। সেসব এলাকায় সবজির বীজের প্রনোদনা দেয়া হবে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আগাম সিম চাষে লাভবান নওগাঁর চাষিরা

আপডেট সময় ০৬:১৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

কৃষি ডেস্কঃ নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম নতুন সিম। আগাম জাতের সিমের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা।

এ সিমের আবাদ কৃষকদের কাছে ভাদ্রা সিম (ভাদ্র মাসের সিম) নামে পরিচিত। কৃষকরা জানিয়েছেন, সিমের পোকা দমন করতে গিয়ে লাভের একটি অংশ চলে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে সিমের আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের সিমের মধ্যে কার্তিকা, কাজলা ও চালতা নামে পরিচিত।

সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে সিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা ফুল। আর কিছু কিছু শীষে উঁকি দিচ্ছে তরতাজা সিম। আগাম জাতের সিমের আবাদের জন্য জৈষ্ঠ্য মাসে জমি প্রস্তুত করে রোপন করতে হয়।

সদর উপজেলা বর্ষাইল ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামের চাষি আজিজার মন্ডল বলেন, তিনি ৮কাঠা জমিতে ভাদ্র্রা সিমের আবাদ করেছেন।

এ পরিমাণ জমিতে সিমের আবাদ করতে তার প্রায় বাঁশ চার হাজার টাকা, নিড়ানি খরচ এক হাজার, ঔষধ ৮শ টাকাসহ প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

আগাম জাতের সিম পাবো বলে জৈষ্ঠ্য মাসে লাগানো হয়েছে। ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত সিম উঠানো হবে। আগামি ৮-১০ দিনের মধ্যে সিম উঠানো শুরু করবো। প্রথম দিকে সিম সাড়ে তিন থেক চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়।

যখন সিম উঠা শুরু হয় তখন দাম একটু কম হয়। তারপরও সর্বনিম্ন ৪শ থেকে ৫শ টাকা মণ বিক্রি হয়। প্রতি সপ্তাহে এক মণ করে সিম উঠবে। সে হিসেবে মাসে চার মণ। আর দাম পাওয়া যাবে প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

কেশবপুর গ্রামের চাষি সিরাজ বলেন, গত চারদিন আগে খেত থেকে পাঁচ কেজি সিম তুলেছেন।

পাইকারী বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা কেজি। বাজারে সিমের পরিমাণ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি। আর ভালো দামের আশায় আগাম জাতের সিমের আবাদ করা হয়।

ঝিকড়া গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন ও আবুল কাশেমসহ কয়েকজন বলেন, তারা আগাম জাতের লাল সিমের আবাদ করেছেন।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিম উঠা শুরু হবে। তবে এবারে ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে সিম গাছ পচে যাওয়া কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও আশা করছেন ভালো দাম পাবেন।

নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বর্ষাইল, র্কীত্তিপুর ও বক্তারপুর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ সবজির আবাদ হয়ে থাকে।

ধানের পরিবর্তে তারা বেশি লাভের আশায় সবজির আবাদ করে থাকেন। আগাম সিমের আবাদ করায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পানি নামতে শুরু করেছে। সেসব এলাকায় সবজির বীজের প্রনোদনা দেয়া হবে।