স্টাফ রিপোর্টারঃ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় বেগম রোকয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে বেরোবি প্রশাসন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন।
শনিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানা পুলিশ।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রবিউল ইসলাম শনিবার রাতে বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বেরোবি শিক্ষক সিরাজুম মুনিরাকে গ্রেফতার করেছি৷
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার নামে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলা নম্বর-৮। এই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিরাজুম মুনিরার বিরুদ্ধে বেরোবি ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি তুষার কিবরিয়াও একই আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন।
তবে এক বিষয়ে যেহেতু দুইটি মামলা হয় না, তাই আমরা তার অভিযোগকে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে যোগ করে দেবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলার সঙ্গে।
এর আগে, শনিবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
তার মৃত্যু নিয়ে ব্যঙ্গ করে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন বেরোবি বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা।
কিছুক্ষণ পর তিনি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করলেও ওই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনাও হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলে জানান বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
পরে রাতে ওই শিক্ষিক ফেসবুকে নতুন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চান। তিনি লিখেন, একজন সিনিয়র সিটিজেন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু সম্পর্কে ভিন্নভাবে অভিমত ব্যক্ত করা ঠিক নয়।
কর্মফল যাই হোক না কেন, মৃত্যুর সব সময় বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। এটি অনুধাবনের পরপরই আমি আমার বক্তব্য থেকে সরে এসেছি এবং আমার আগের পোস্ট সরিয়ে দিয়েছি।
তারপরও যারা আঘাত পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এর আগেই আগের ওই স্ট্যাটাস নিয়ে সিরাজুম মনিরাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তার নামে তাজহাট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করা হয়। একই আইনে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও।