সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ মাছ ধরার দুটি ট্রলার আটক করে নিয়ে যাবার তথ্য দিয়েছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে আটক করে নিয়ে যাবার দুইদিনের মাথায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
একটি ছবিতে নাবিকদের একটি ট্রলারের পাটাতনে মাথার পেছনে দুহাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আর দুটি ছবিতে ট্রলারগুলো দেখা যাচ্ছে।‘ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড’ ফেসবুক পেইজে ছবি তিনটি প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারাদ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলার দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়।
আটক ট্রলার দুটি হলো, এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এবং এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন জানান, সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মাছ ধরছিল, তখন ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে নিয়ে যায়।তিনি বলেন, “এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করেছে এবং বিষয়টি তারা ফেসবুকে প্রকাশ করেছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় ট্রলার দুটি উদ্ধার করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
“মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে ট্রলারের মালিকপক্ষের ভার্চুয়াল সভা হয়। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রলারসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন।মঙ্গলবার দুপুরে এফভি-মেঘনা ট্রলারের ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন আরেকটি ট্রলারে বেতারবার্তা পাঠান এবং তাদের অবস্থা অবহিত করেন।