সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই, তা খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আজ, সুপ্রিম কোর্টও বম্বে হাইকোর্টের রায়কেই বজায় রাখল। একইসঙ্গে সিবিআইকে কড়া ধমক দিল দেশের শীর্ষ আদালত।বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে এই বিষয়ে সতর্কও করেছে ৷
তাদের পর্যবেক্ষণ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত রিয়া একজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি বলেই সিবিআই লুকআউট নোটিস জারি করতে পারে না! আদালতে বিচারপতিরা এই ধরনের আবেদনকে অর্থহীন বলে অভিহিত করেছেন ৷ বেঞ্চ সতর্ক করে আরও জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের আবেদন করার জন্য তদন্ত সংস্থাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে ৷ শুধু তাই নয়, রিয়া ও তাঁর পরিবার চাইলে সিবিআইয়ের কাছ থেকে মামলার খরচ আদায় করতে পারেন বলেও আদালত জানিয়েছে ৷বম্বে হাইকোর্ট ২২ ফেব্রুয়ারি রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাই শৌভিক এবং তাঁদের বাবা-মা ইন্দ্রজিৎ এবং সন্ধ্যার বিরুদ্ধে জারি করা এলওসি বাতিল করেছিল ৷
সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিকের নাম জড়ায় ৷ এরপর বারবার সিবিআইয়ের তদন্তের মুখে পড়ে চক্রবর্তী পরিবার ৷ অন্য একটি অভিযোগে রিয়া ও শৌভিককেও গ্রেপ্তারও হতে হয়।জানা গেছে, তদন্তে প্রথম থেকেই সহযোগিতা করে আসছেন রিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ ফলে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের লুকআউট নোটিস বাতিল করা হয় ৷ হাইকোর্টের পক্ষে জানানো হয়, এলওসি হল ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য একটি জোরপূর্বক ব্যবস্থা ৷ একইভাবে ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং অবাধ চলাফেরার অধিকারে হস্তক্ষেপ করে এবং সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে ব্যক্তির ভ্রমণের মৌলিক অধিকারকেও হ্রাস করে।
এরপরেই সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করা হয় ৷২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ ৷ মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে ৷ এরপর প্রয়াত সুশান্তের বাবা কেকে সিং সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন ৷ বিহারের একটি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তিনি৷ তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে ৷ সেই বছরই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়া-শৌভিককে গ্রেপ্তার করে ৷ পরবর্তী সময়ে তাঁরা জামিন পান ৷