সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজি নিতে সৌদি সরকারের কোনো বাধা নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার।সম্প্রতি বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে জেদ্দাস্থ সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার বলেন, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজি নিতে সৌদি সরকারের কোনো বাধা নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। বাংলাদেশকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।তিনি হাজিদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। বাংলাদেশের হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধিদের হজের ২/৩ মাস আগে আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বারবার সৌদি আরব যেতে হয়। সেজন্য মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসার প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা এ ব্যাপারে হজ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মুনাজ্জেম ভিসা ইস্যুর আশ্বাস দেন।রোড টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ঢাকার হজ ক্যাম্পে সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয় এবং হাজিদের লাগেজ সৌদি হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৩ ও ২৪ সালে বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যায়। প্রসঙ্গটি তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতোপূর্বে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি প্রেরণের কোটা দেওয়া হয়। ধর্ম উপদেষ্টা এ ব্যাপারে ২০২৪ সালের অনুরূপ ২৫০ এ সিলিং করার অনুরোধ করেন। সৌদি মন্ত্রী ব্যাপারটি সদয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা ও হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।বাংলাদেশি দলে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচির আবদুল হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।