ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌকার কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থকের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দলীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীদের দায়ী করেছেন নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। হামলার অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ সাদিক সমর্থক ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, রবিবার রাত ৯টার দিকে সনাতন ধর্মের এক ঘনিষ্ঠজনের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে কাউনিয়া মহাশ্মশান গেটের সামনে একটি দোকানে চা পান করছিলেন নৌকার ছয়জন কর্মী-সমর্থক।

এক পর্যায়ে একদল লোক লাটিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে তিনজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে তারা। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নৌকার অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা আহত কর্মী হালিম, মনা ও জাহিদকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ হামলার জন্য মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাকে দায়ী করেছেন আহতরা। বিনা কারণে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে, নৌকার তিন আহত কর্মীকে দেখতে রবিবার রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত-সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় এই হামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন নৌকার প্রার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন সিকদার।

নৌকার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে রাতেই আহতদের পক্ষে নগরীর কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারের আগে রবিবার রাতে মান্না ফোনে নৌকার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত পাঁচ দিন ধরে কালীবাড়ি রোডে মেয়রের বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত বলে তিনি দাবি করেন। এর কিছুক্ষণ পরই কাউনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।

হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন কাউনিয়া থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল। হামলাকারী অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নৌকার মনোনয়ন ঘোষণার পর এই প্রথম বরিশালে আওয়ামী লীগের দলীয় সহিংসতার ঘটনা ঘটল।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নৌকার কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:২১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থকের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দলীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীদের দায়ী করেছেন নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। হামলার অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ সাদিক সমর্থক ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, রবিবার রাত ৯টার দিকে সনাতন ধর্মের এক ঘনিষ্ঠজনের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে কাউনিয়া মহাশ্মশান গেটের সামনে একটি দোকানে চা পান করছিলেন নৌকার ছয়জন কর্মী-সমর্থক।

এক পর্যায়ে একদল লোক লাটিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে তিনজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে তারা। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নৌকার অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা আহত কর্মী হালিম, মনা ও জাহিদকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ হামলার জন্য মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাকে দায়ী করেছেন আহতরা। বিনা কারণে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে, নৌকার তিন আহত কর্মীকে দেখতে রবিবার রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত-সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় এই হামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন নৌকার প্রার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন সিকদার।

নৌকার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে রাতেই আহতদের পক্ষে নগরীর কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারের আগে রবিবার রাতে মান্না ফোনে নৌকার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত পাঁচ দিন ধরে কালীবাড়ি রোডে মেয়রের বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত বলে তিনি দাবি করেন। এর কিছুক্ষণ পরই কাউনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।

হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন কাউনিয়া থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল। হামলাকারী অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নৌকার মনোনয়ন ঘোষণার পর এই প্রথম বরিশালে আওয়ামী লীগের দলীয় সহিংসতার ঘটনা ঘটল।