ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্যাস–সংকটে ব্যহত উৎপাদন

লোডশেডিং আরও কয়েক দিন চলবে

গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে এসেছে। এতে করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় এলাকায় লোডশেডিং আরও কয়েক দিন চলবে বলে পিডিবি সূত্রে জানিয়েছে ।

এর মুল কারণ ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাসের সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে । আর  পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে

গত শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সতর্কতার অংশ হিসেবে মহেশখালীর ভাসমান দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ।

(পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দুটি এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনা করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।

এক্সিলারেটের টার্মিনালটি পুনরায় চালু করতে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। আর সামিটের টার্মিনাল সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আগের জায়গাতেই আছে। সংযোগ ফিরিয়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করবে আজ সোমবার। আজ প্রস্তুতি শেষ হলে গ্যাস সরবরাহের সময় ঠিক করা যাবে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে, দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। গত শুক্রবারও এলএনজি থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। ওই দিন রাতে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ার পর গতকাল রোববার গ্যাস সরবরাহ হয়েছে ২১৫ কোটি ঘনফুট।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিক সময়েও গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এলএনজি বন্ধের পর ঘাটতি আরও বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দিনে গ্যাসের চাহিদা ২১৭ কোটি ঘনফুট। গতকাল সরবরাহ করা হয়েছে ৮৮ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধের আগে এ খাতে সরবরাহ করা হয়েছে ১১১ কোটি ঘনফুট।

 

চট্টগ্রামের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এলএনজি বন্ধের পর গত শনিবার গ্যাস সরবরাহ কিছু ছিল। এখানকার সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাসার গ্রাহকেরা অল্প গ্যাস পেয়েছেন। তবে গতকাল আর কেউ গ্যাস পাননি।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম গন মাধ্যম কে জানান , দিনে তাদের চাহিদা ৩০ কোটি ঘনফুট। গতকাল সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ আছে। এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।

গ্যাস–সংকটের প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। দুই দিন ধরে গ্যাস না পেয়ে তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকেরা। আবার কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস থাকলেও চাপ কমে যাওয়ায় রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।

গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওটা থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে। আরেকটি থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

গ্যাস–সংকটে ব্যহত উৎপাদন

লোডশেডিং আরও কয়েক দিন চলবে

আপডেট সময় ০৮:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে এসেছে। এতে করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় এলাকায় লোডশেডিং আরও কয়েক দিন চলবে বলে পিডিবি সূত্রে জানিয়েছে ।

এর মুল কারণ ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাসের সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে । আর  পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে

গত শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সতর্কতার অংশ হিসেবে মহেশখালীর ভাসমান দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ।

(পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দুটি এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনা করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।

এক্সিলারেটের টার্মিনালটি পুনরায় চালু করতে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। আর সামিটের টার্মিনাল সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আগের জায়গাতেই আছে। সংযোগ ফিরিয়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করবে আজ সোমবার। আজ প্রস্তুতি শেষ হলে গ্যাস সরবরাহের সময় ঠিক করা যাবে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে, দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। গত শুক্রবারও এলএনজি থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। ওই দিন রাতে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ার পর গতকাল রোববার গ্যাস সরবরাহ হয়েছে ২১৫ কোটি ঘনফুট।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিক সময়েও গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এলএনজি বন্ধের পর ঘাটতি আরও বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দিনে গ্যাসের চাহিদা ২১৭ কোটি ঘনফুট। গতকাল সরবরাহ করা হয়েছে ৮৮ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধের আগে এ খাতে সরবরাহ করা হয়েছে ১১১ কোটি ঘনফুট।

 

চট্টগ্রামের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এলএনজি বন্ধের পর গত শনিবার গ্যাস সরবরাহ কিছু ছিল। এখানকার সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাসার গ্রাহকেরা অল্প গ্যাস পেয়েছেন। তবে গতকাল আর কেউ গ্যাস পাননি।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম গন মাধ্যম কে জানান , দিনে তাদের চাহিদা ৩০ কোটি ঘনফুট। গতকাল সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ আছে। এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।

গ্যাস–সংকটের প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। দুই দিন ধরে গ্যাস না পেয়ে তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকেরা। আবার কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস থাকলেও চাপ কমে যাওয়ায় রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।

গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওটা থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে। আরেকটি থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।