ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

জনগণ কে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদূরপ্রসারী কোনো স্বাস্থ্যভাবনা ছিল না। সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে উঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা মোটেও সহজ কাজ নয়। স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও পেয়েছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের আট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি আট বিভাগেই আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।

বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এমনি এমনি আসেনি। পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এটি। করোনায় বিএনপি কোথাও ছিল না। তারা কাউকে সহায়তা করেনি। তারা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় যারা করোনায় কাজ করেছে সেই চিকিৎসক, নার্সদের নিয়ে দিনরাত সমালোচনা করেছে, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে। তারা বন্যায় কাউকে সহায়তা করে না, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ায় না, শুধু টেলিভিশনের পর্দায় সমালোচনার কাজ করে।
ডেন্টাল হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছি। আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে। এখন এই লোকবল পূরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

এক ম্যাচ হাতে রেখেই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

জনগণ কে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:০৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদূরপ্রসারী কোনো স্বাস্থ্যভাবনা ছিল না। সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে উঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা মোটেও সহজ কাজ নয়। স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও পেয়েছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের আট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি আট বিভাগেই আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।

বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এমনি এমনি আসেনি। পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এটি। করোনায় বিএনপি কোথাও ছিল না। তারা কাউকে সহায়তা করেনি। তারা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় যারা করোনায় কাজ করেছে সেই চিকিৎসক, নার্সদের নিয়ে দিনরাত সমালোচনা করেছে, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে। তারা বন্যায় কাউকে সহায়তা করে না, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ায় না, শুধু টেলিভিশনের পর্দায় সমালোচনার কাজ করে।
ডেন্টাল হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছি। আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে। এখন এই লোকবল পূরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।