প্রায় ২২ বছর পর এবার সিলেটে নতুন প্রার্থী পেল আওয়ামী লীগ। তবে এখন মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
কারণ, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
কারণ, স্থানীয় নেতারা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া স্থানীয় যে কাউকে মনোনয়ন দিলে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করবেন।
সিটি করপোরেশনে বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। টানা দুই দফায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করবেন কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে ১১ জন ফরম সংগ্রহ করেন। আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া অন্য ১০ জন হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ; মহানগর সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আবদুল খালিক; সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এ হাসান, আজাদুর রহমান; সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু, ছালেহ আহমদ সেলিম; সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাহি উদ্দিন আহমদ।
শনিবার সকালে গণভবনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনিই এবার সিলেটে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আনোয়ারুজ্জামান সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রচার শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে নির্বাচনের বিষয়ে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান সিলেট-২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।