উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৩ রানে জয় টাইগারদের। দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয় নি বাংলাদেশের। শুরুতেই সৌম্যর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানে মুজারাবানির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর নাজমুল শান্তর সাথে রান তুলতে থাকেন লিটন দাস। তবে লিটন রানের খাতা বড় করতে পারে নি।
লিটনের ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন সাকিব ও শান্ত। উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন শান্ত। খেলেন ৫৫ বলে ৭১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। শেষভাগে এসে আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫০ রানের সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও এনগারাভা।
১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৩৫ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর বার্ল ও উইলিয়ামস মিলে গড়েন ৬৩ রানের কার্যকরী ইনিংস। তবে মূল নাটকীয়তার তখনও বাকি। ম্যাচ গড়ায় ফাইনাল ওভারে। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। বোলিংয়ে আসেন মোসাদ্দেক। দ্বিতীয় বলে ইভান্সের উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর ওভারের ৪ নম্বর বলে ছয় মেরে জয়ের আশা দেখান জিম্বাবুয়ের বোলার এনগারাভা। তবে এরপরের বলেই আউট হন এনগারাভা। শেষ বলে তখন জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৫ রান। কিন্তু উইকেটকিপার সোহানের ভুলে শেষ বলে জন্ম নেয় নাটকীয়তা।
ওভারের শেষ বল ডট দিলেও সোহানের ভুলে আবারও ব্যাট করার সুযোগ পায় সিকান্দার রাজারা। তবে সেই বলেও ডট দিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। অসাধারণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগার বাহিনী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে এই পেসারের হাতে