ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

উপকূল অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতচিহ্ন

ভোলার চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়ন। উপজেলার সর্বদক্ষিণের ইউনিয়নের সর্বত্রই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি রাস্তা। চরের কিছুদূর পর পরই দু-একটি করে বিধ্বস্ত ঘর।

পড়ে আছে বড় বড় গাছ। কোনো কোনো ভিটাও ধুয়ে গেছে। তবে বড় জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় বেশির ভাগ বসতি রক্ষা পেয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে দক্ষিণ আইচা থানার কচ্ছপিয়া ঘাটের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। গত বুধবার ওই ঘাট থেকে ছোট লঞ্চে প্রায় দুই ঘণ্টায় পৌঁছানো গেল চরে। আনন্দবাজার ঘাটে লঞ্চ থামতেই চোখে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের থাবার আলামত। জেলেদের ঘরের ওপর পড়ে আছে গাছ।

চরে ঘুরে দেখা গেছে, আনন্দবাজারের আশপাশে, তারুয়া চর ও খালেকের এলাকায় জনমানুষের বসবাস। সরকারি হিসাবে চরে আড়াই হাজার জেলে। তবে গোটা চরে মেলে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরে মৎস্যজীবীর বাস। একসময় ঢালচরে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হলেও এখন কোনো ফসল চাষ করা হয় না। বাসিন্দারা সবাই মাছ শিকারসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন হাওলাদার বলেন, ‘ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি আর রাস্তাঘাটের। ’

ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম মুন্সী বলেন, ‘সব জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও আমাদের এই চরে নেই। অথচ আমরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছি। ’ তিনি জানান, আগে দুটি স্কুলের সঙ্গে সাইক্লোন শেল্টার ভবন ছিল এবং একটি সরকারি বহুতল ভবনে শেল্টার ছিল। এক যুগ আগে এসব ভবন ভেঙে গেছে। এরপর আর কোনো বহুতল ভবন বা সাইক্লোন শেল্টার করা হয়নি।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ সওদাগর মার্কেটের পাশে জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা গেল, কয়েকজন জেলে জাল ঠিক করে নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের পাশেই দুটি টিনশেড ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘরের ওপর কয়েকটি গাছ।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাহে আলমের ঘরের বেড়া ছাড়া নিচে আর কিছু নেই। মাহে আলমের স্ত্রী রহিমা বেগম মাটি দিয়ে ঘর ঠিক করছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাঁইচা আছি এইডাই বড় কথা। ’

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

উপকূল অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতচিহ্ন

আপডেট সময় ১১:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

ভোলার চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়ন। উপজেলার সর্বদক্ষিণের ইউনিয়নের সর্বত্রই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি রাস্তা। চরের কিছুদূর পর পরই দু-একটি করে বিধ্বস্ত ঘর।

পড়ে আছে বড় বড় গাছ। কোনো কোনো ভিটাও ধুয়ে গেছে। তবে বড় জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় বেশির ভাগ বসতি রক্ষা পেয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে দক্ষিণ আইচা থানার কচ্ছপিয়া ঘাটের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। গত বুধবার ওই ঘাট থেকে ছোট লঞ্চে প্রায় দুই ঘণ্টায় পৌঁছানো গেল চরে। আনন্দবাজার ঘাটে লঞ্চ থামতেই চোখে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের থাবার আলামত। জেলেদের ঘরের ওপর পড়ে আছে গাছ।

চরে ঘুরে দেখা গেছে, আনন্দবাজারের আশপাশে, তারুয়া চর ও খালেকের এলাকায় জনমানুষের বসবাস। সরকারি হিসাবে চরে আড়াই হাজার জেলে। তবে গোটা চরে মেলে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরে মৎস্যজীবীর বাস। একসময় ঢালচরে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হলেও এখন কোনো ফসল চাষ করা হয় না। বাসিন্দারা সবাই মাছ শিকারসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন হাওলাদার বলেন, ‘ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি আর রাস্তাঘাটের। ’

ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম মুন্সী বলেন, ‘সব জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাইক্লোন শেল্টার থাকলেও আমাদের এই চরে নেই। অথচ আমরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছি। ’ তিনি জানান, আগে দুটি স্কুলের সঙ্গে সাইক্লোন শেল্টার ভবন ছিল এবং একটি সরকারি বহুতল ভবনে শেল্টার ছিল। এক যুগ আগে এসব ভবন ভেঙে গেছে। এরপর আর কোনো বহুতল ভবন বা সাইক্লোন শেল্টার করা হয়নি।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ সওদাগর মার্কেটের পাশে জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা গেল, কয়েকজন জেলে জাল ঠিক করে নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের পাশেই দুটি টিনশেড ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘরের ওপর কয়েকটি গাছ।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাহে আলমের ঘরের বেড়া ছাড়া নিচে আর কিছু নেই। মাহে আলমের স্ত্রী রহিমা বেগম মাটি দিয়ে ঘর ঠিক করছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাঁইচা আছি এইডাই বড় কথা। ’