সুসময় ফিরলে তখন আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে, জোয়ারের স্রোতে ভেসে আসে অনেক কিছুই। একটা জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে তেমনই এক জোয়ার যেন এনে দিয়েছে! পাল্টে গেছে কথা বলার ধরন আবার প্রত্যাশার লাগামটাও উড়ছে আকাশে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এখন সুখের বাতাস বইছে বাংলাদেশ শিবিরে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই। তার আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসে সাকিব আল হাসান নিশ্চিত করলেন, সাজঘরে স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশের!
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় শুরু লড়াই। অবশ্য বাংলাদেশে তখন সকাল ৯টা। আর সেখানে জয়ের জন্য নামবে বাংলাদেশ। সাকিব বলছিলেন, ‘আমরা ম্যাচটা খেলতে নামবো জেতার জন্য, আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যেহেতু ওরা আশা করছিল একটা পয়েন্ট ওরা পাবে বেশি, যেটা পায়নি সো ওদের জন্য অলমোস্ট ডু অর ডাই ম্যাচ। ওদের জন্য একটু হলেও প্রেশার থাকবে। সেখানে আমরা ম্যাচ জিতে এসেছি এবং এমন একটা মাঠে খেলা যেখানে যে কোনো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য আমরা অন্য কোনো মাঠ থেকে বেশি প্রেফার করবো।’
এমনিতে সিডনিতে খেলার আগে একটু স্বস্তিও থাকছে বাংলাদেশের। কারণ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পান স্পিনাররা। সাকিব বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার যে কোনো উইকেট থেকে এখানে একটু স্পিনারদের জন্য সুবিধা একটু বেশি থাকে নরমালি। বাট বিশ্বকাপে যেটা যেটা হয় যে নরমালি ট্রু উইকেট প্রডিউস করার চেষ্টা করেন আইসিসি এবং সবার জন্য ব্যালেন্স থাকে পিচে। সেভাবে আমাদের প্লান করতে হবে এবং আমরা যেটা একটু আগেও বললাম ওপেন থাকতে চাই আমরা ব্যাটিং করবো নাকি বোলিং করবো কিংবা টস নিয়ে চিন্তা করবো। এগুলো আসলে কন্ট্রোল করতেও পারবো না, কন্ট্রোল করতে চাই ও না। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, একটা ভালো মাইন্ডসেট নিয়ে যেতে চাই। উপভোগ করতে চাই।’
সিডনিতে জয়টাও চাইছেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক বলছিলেন, ‘এখন এমন একটা ম্যাচ যদি আমরা জিতে যাই। আমাদের যেটা বললাম আমাদের এমন কিছু করার ক্ষমতা আছে সেটা প্রমাণ করার খুব কাছাকাছি চলে যাবো। সো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও হারতে পারবে না অলমোস্ট তেমন একটা অবস্থানে রয়েছে। সো দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, আমি বলবো আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ কতটা আমরা খেলাটাকে উপভোগ করতে পারছি।’
এটাই শেষ কথা। নিজের কাজটাকে কেউ যদি উপভোগ করতে পারেন তবে দিনশেষে তার মুখে স্বস্তির হাসি থাকবেই!