ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন দুই শতাধিক পরিবার

  • নিউজ ভিশন টুডে ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

  • Warning: A non-numeric value encountered in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-content/themes/template-pro/template-parts/common/single_two.php on line 103
    ৫৮৬ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নতুন করে আবারো গড়াই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে জমিজমা ও ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।

দেখা গেছে নতুন করে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছেন সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা এবং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া ও উলুবাড়িয়া গ্রাম। প্রায় দুই যুগ ধরে গড়াই নদীভাঙনের কবলে পড়ে বদলে গেছে নদীর গতিপথ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, খুলুমবাড়ি, মাদলা, কাশিনাথপুর ও লাঙ্গলবাঁধ। ভিটেবাড়ি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পাউবোর প্রধান সেচ খালের কাছে।

সারুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের রহিম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীভাঙন একদম আমার বাড়ির কাছে চলে এসেছে। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি কোন সময় ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দুই মাস ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর পানি কমছে আর গড়াই নদী ভয়াল রূপ নিচ্ছে। ইতোপূর্বে নদীগর্ভে ভিটেমাটি চাষাবাদের জমি ও সহায়-সম্বল হারিয়েছি আমরা।

হাকিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাদলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন, গড়াই নদীর ভাঙনে এলাকার অনেক বাড়িসহ ফসলি জমি যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে।

আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। শিগগিরই নদীভাঙন রুখতে না পারলে গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, ভিটেমাটি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।সহায় সম্বল হারানো একই গ্রামের রেবেকা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব। নদীর ভয়াল আচরণে গত ২০ বছরে চারবার জায়গা পরিবর্তন করেছি। আবারো আমরা ভাঙনের হুমকির মুখে। আমার স্বামী মারা গেছে, এক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ভিটা আঁকড়ে ধরে আছি। বর্তমানে খুব কষ্টে দিন পার করছি। আমরা যে কষ্টে আছি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বাররা খোঁজ নেয় না। এই ভাঙন রোধে আগাম কোনো ব্যবস্থা নিলে হয়ত এতো ভয়ানক রূপ নিতো না সর্বনাশা গড়াই।

৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও ৮ নং ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, নদীভাঙন রোধে ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলীর এসব এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল। তিনি তা না করে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। যদি আগাম ব্যবস্থা নিতেন তাহলে ভাঙন এমন রূপ নিতো না। শিগগিরই ভাঙনরোধে পদক্ষেপ না নিলে পরিবারগুলো সব হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বনি আমিন বলেন, আমি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। বেশ ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছে সেখানকার লোকজন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুতই বরাদ্দ আসবে। তখন কাজ শুরু হবে।

ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। আশা করি, দ্রুতই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন দুই শতাধিক পরিবার

আপডেট সময় ০১:০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নতুন করে আবারো গড়াই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে জমিজমা ও ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।

দেখা গেছে নতুন করে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছেন সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা এবং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া ও উলুবাড়িয়া গ্রাম। প্রায় দুই যুগ ধরে গড়াই নদীভাঙনের কবলে পড়ে বদলে গেছে নদীর গতিপথ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, খুলুমবাড়ি, মাদলা, কাশিনাথপুর ও লাঙ্গলবাঁধ। ভিটেবাড়ি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পাউবোর প্রধান সেচ খালের কাছে।

সারুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের রহিম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীভাঙন একদম আমার বাড়ির কাছে চলে এসেছে। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি কোন সময় ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দুই মাস ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর পানি কমছে আর গড়াই নদী ভয়াল রূপ নিচ্ছে। ইতোপূর্বে নদীগর্ভে ভিটেমাটি চাষাবাদের জমি ও সহায়-সম্বল হারিয়েছি আমরা।

হাকিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাদলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন, গড়াই নদীর ভাঙনে এলাকার অনেক বাড়িসহ ফসলি জমি যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে।

আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। শিগগিরই নদীভাঙন রুখতে না পারলে গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, ভিটেমাটি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।সহায় সম্বল হারানো একই গ্রামের রেবেকা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব। নদীর ভয়াল আচরণে গত ২০ বছরে চারবার জায়গা পরিবর্তন করেছি। আবারো আমরা ভাঙনের হুমকির মুখে। আমার স্বামী মারা গেছে, এক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ভিটা আঁকড়ে ধরে আছি। বর্তমানে খুব কষ্টে দিন পার করছি। আমরা যে কষ্টে আছি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বাররা খোঁজ নেয় না। এই ভাঙন রোধে আগাম কোনো ব্যবস্থা নিলে হয়ত এতো ভয়ানক রূপ নিতো না সর্বনাশা গড়াই।

৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও ৮ নং ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, নদীভাঙন রোধে ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলীর এসব এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল। তিনি তা না করে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। যদি আগাম ব্যবস্থা নিতেন তাহলে ভাঙন এমন রূপ নিতো না। শিগগিরই ভাঙনরোধে পদক্ষেপ না নিলে পরিবারগুলো সব হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বনি আমিন বলেন, আমি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। বেশ ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছে সেখানকার লোকজন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুতই বরাদ্দ আসবে। তখন কাজ শুরু হবে।

ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। আশা করি, দ্রুতই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।