ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাক থেকেও অপমানজনক ভাবে আমেরিকাকে চলে যেতে হবে’

ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের বহর (ছবি: পার্সটুডে)

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনারা চলে যেতে বাধ্য হয়েছে তার চেয়েও বেশি অপমানজনকভাবে ইরাক থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে।

ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় পবিত্র মাশহাদ শহরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জেনারেল সোলাইমানি এবং ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে।

গতকালের অনুষ্ঠানে জেনারেল কানি জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যেতেই হবে কারণ তারা নানা রকমের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে; অন্যদিকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে একটি বিরাট সংখ্যক মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যদি তারা ইরাক থেকে চলে যেতে না চায় তাহলে ইরাকের ভেতর থেকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো মার্কিন সেনাদের জন্য দুঃখজনক অবস্থা তৈরি করবে এবং আফগানিস্তানের চেয়েও অপমানজনকভাবে তাদেরকে ইরাক ছাড়তে হবে।

ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে এবং ন্যাটো বাহিনীর সেনা আছে ১০০০। এরইমধ্যে মার্কিন সরকার ইরাকে তাদের কম্ব্যাট মিশন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার আওতায় মার্কিন কম্ব্যাট সেনারা ইরাক থেকে চলে যাবে তবে কিছু সেনা ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে মোতায়েন থাকবে। ইরান এবং এ অঞ্চলের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো ইরাক থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চাইছে।

সূত্রঃ পার্সটুডে

ট্যাগস

ইরাক থেকেও অপমানজনক ভাবে আমেরিকাকে চলে যেতে হবে’

আপডেট সময় ১০:২২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনারা চলে যেতে বাধ্য হয়েছে তার চেয়েও বেশি অপমানজনকভাবে ইরাক থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে।

ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় পবিত্র মাশহাদ শহরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জেনারেল সোলাইমানি এবং ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে।

গতকালের অনুষ্ঠানে জেনারেল কানি জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যেতেই হবে কারণ তারা নানা রকমের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে; অন্যদিকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে একটি বিরাট সংখ্যক মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যদি তারা ইরাক থেকে চলে যেতে না চায় তাহলে ইরাকের ভেতর থেকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো মার্কিন সেনাদের জন্য দুঃখজনক অবস্থা তৈরি করবে এবং আফগানিস্তানের চেয়েও অপমানজনকভাবে তাদেরকে ইরাক ছাড়তে হবে।

ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে এবং ন্যাটো বাহিনীর সেনা আছে ১০০০। এরইমধ্যে মার্কিন সরকার ইরাকে তাদের কম্ব্যাট মিশন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার আওতায় মার্কিন কম্ব্যাট সেনারা ইরাক থেকে চলে যাবে তবে কিছু সেনা ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে মোতায়েন থাকবে। ইরান এবং এ অঞ্চলের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো ইরাক থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চাইছে।

সূত্রঃ পার্সটুডে