সুনামগন্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে একটু বেশি লাভের আশায় সবজিতে স্বপ্ন বুনছেন দুই উপজেলার কৃষকরা।
এরই মধ্যে কৃষকরা লাল শাক, লাউ, বেগুন, শিম, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও শসাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ শুরু করেছেন। আর তিন থেকে চার সপ্তাহ পর এসব সবজি বাজারজাত করবেন এমনটাই আশা এখানকার কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাক-সবজি। বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন হবে এমনটাই স্বপ্ন কৃষকদের।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে সুনামগঞ্জে ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সকল ধরনের সবজি চাষ করছেন কৃষকরা।
এছাড়াও সুনামগঞ্জে সবজি এলাকা হিসেবে বিখ্যাত দুটি উপজেলায় বেশি সবজি চাষ করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর, বাঘমাড়া, কুনারগাঁও, নলুয়া, বেরীগাঁও, ঝরঝরিয়া, মঙ্গলকাটা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুলেকাবাদ, পলাশ, জিনারপুর, মাজাইগাও গ্রামে বেশি শীতকালীন সবজি আবাদ করা হয়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাজাইরগাঁও গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, আমি প্রতি বছর শীতকালীন শসা, টমেটো সবজি চাষ করি এবং বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি। এই বছর ৮ একর জমিতে শসা ও টমেটোর ক্ষেত করেছি যদি ফলন ভালো হয় তাহলে আশা করি গত বছরের তুলনায় এই বছর বেশি লাভবান হবো।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক আলাউর মিয়া বলেন, পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে লাউ শাক চাষ করেছি। শাকের ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিছুদিন পর এই লাউ শাক বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলর কৃষ্ণনগর গ্রামের কৃষক হেলাল মিয়া বলেন, শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকার কারণে তিনি এবছর শীতকালীন সবজি হিসেবে লাউ, শিম ও বেগুনের চাষ করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহরে মধ্যে এসব আগাম সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাঘমাড়া গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরুতে বাজারে নতুন সবজি তুলে আমি বিক্রি করি। এই বছর বেগুন আর শিম চাষ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজারে সবজির চাহিদা থাকলে আশা করি এই সবজি থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হবে। পাশাপাশি শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজি বাজারে এলে কৃষকরা ভালো দাম ভালো পাবেন।