অর্থনীতি ডেক্সঃ বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংককে টেকসই ব্যাংকের মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তালিকায় রয়েছে পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই রেটিং বা মান প্রকাশ করেছে।
মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মান যাচাই করা হয়েছে। এগুলো হলো টেকসই অর্থায়ন সূচক, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন ও টেকসই কোর ব্যাংকিং সূচক। শুধু এসব সূচকের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলোর রেটিং নির্ধারণ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, টেকসই কোর ব্যাংকিং সূচকের মধ্যে ব্যাংকগুলোর ঋণের মান, মূলধন পরিস্থিতি, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ যে টেকসই ব্যাংকের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে ক্রমতালিকা সাজানো হয়েছে আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে। ফলে মানের দিক থেকে কোন ব্যাংক এগিয়ে আছে, তা জানা যায়নি। টেকসই ১০ ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎসহ জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় না, এমন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছি। এর ফলে টেকসই ব্যাংকিংয়ের তালিকায় আমাদের ব্যাংকের নাম উঠেছে। এই স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ধন্যবাদ।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হজ ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সৌদি-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার মোরশেদ মিল্লাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে প্রথমবারের মতো এই মান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠানো তথ্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮টি বিভাগের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে এই মান নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব ব্যাংক পুরোনো ও সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, এই তালিকায় তারাই এগিয়ে গেছে। তবে এই মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একটি ব্যাংকের পুরো আর্থিক চিত্র প্রকাশ পায়নি।