ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে মাছের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক: ঈদের পর দু’দিন চড়া দামে বিক্রি হওয়ার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবজির দোকান খোলার পরিমাণ। তবে এখনো বেশিরভাগ মাছের দোকান বন্ধ রয়েছে।

যারা খুলেছেন তাদের কাছে মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় তারা চড়া দামে বিক্রি করছেন। শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি সবজি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল এসব সবজি কিনতে ক্রেতাদের ৪০ টাকার ওপরে গুনতে হয়েছে।

সবজির দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো মানুষের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস রয়েছে। ফলে সবজির চাহিদা কম। কিন্তু দু’দিন বন্ধ থাকার পর প্রায় সব দোকান খুলে গেছে এবং বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সবজির দাম কমেছে।

আগের মতো এখনো সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। তবে এক দিনের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, যা গতকাল ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আর গতকাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গাজর ও টমেটোর সঙ্গে বেগুন, ঝিঙে, ঢেঁড়স, করলা, শসা, কাঁচ কলা, পেঁপের দামও কমেছে। গতকাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে।

ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

গতকাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচ কলার হালি ক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনতে পারছেন।

এছাড়াও ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, গতকালও আমরা কয়েকজন দোকান খুলেছিলাম। আড়তেও মাল কম ছিল। আজ সবাই চলে এসেছেন। আড়তেও সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

তিনি বলেন, ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস থাকায় এখন সবজির চাহিদা কম। তবে দু’দিন পর ঠিকই সবজির চাহিদা বাড়বে, তখন দামও বাড়বে। এখন যেসব সবজি মানুষ ২০-৩০ টাকায় কিনছেন, এ সবজিই দু’দিন পর ৫০-৬০ টাকা দিয়ে কিনে খাবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. সাইদুর বলেন, গতকাল আড়তে সবজি কম এসেছিল। আজ আড়তে সবজির অভাব নেই। দামও গতকালের তুলনায় কম। ফলে আমরা কিছুটা কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা যায়। যারা খুলেছেন তাদের কাছে সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের মাত্র তিনটি দোকান খোলা রয়েছে। এ দোকানগুলোতে চিংড়ি, রুই, মৃগেল মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা চিংড়ি মাছের কেজি চাচ্ছেন ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা। তবে মৃগেল মাছের কেজি আগের মতো ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের ব্যবসায়ী মনির বলেন, সবাই এখনো কোরবানির মাংস খাচ্ছে। মাছের প্রতি চাহিদা নেই। এ কারণে এখনো মাছের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। আড়তেও মাছ কম আসছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মাছের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।

মাংসের বাজারে যাওয়ার পর গরু ও খাসির মাংসের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। তবে কিছু মুরগির দোকান খোলা পাওয়া যায়।

এসব দোকানগুলোতে আগের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে মাছের দাম

আপডেট সময় ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

অর্থনীতি ডেস্ক: ঈদের পর দু’দিন চড়া দামে বিক্রি হওয়ার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবজির দোকান খোলার পরিমাণ। তবে এখনো বেশিরভাগ মাছের দোকান বন্ধ রয়েছে।

যারা খুলেছেন তাদের কাছে মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় তারা চড়া দামে বিক্রি করছেন। শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি সবজি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল এসব সবজি কিনতে ক্রেতাদের ৪০ টাকার ওপরে গুনতে হয়েছে।

সবজির দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো মানুষের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস রয়েছে। ফলে সবজির চাহিদা কম। কিন্তু দু’দিন বন্ধ থাকার পর প্রায় সব দোকান খুলে গেছে এবং বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সবজির দাম কমেছে।

আগের মতো এখনো সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। তবে এক দিনের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, যা গতকাল ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আর গতকাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গাজর ও টমেটোর সঙ্গে বেগুন, ঝিঙে, ঢেঁড়স, করলা, শসা, কাঁচ কলা, পেঁপের দামও কমেছে। গতকাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে।

ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

গতকাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচ কলার হালি ক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনতে পারছেন।

এছাড়াও ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, গতকালও আমরা কয়েকজন দোকান খুলেছিলাম। আড়তেও মাল কম ছিল। আজ সবাই চলে এসেছেন। আড়তেও সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

তিনি বলেন, ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস থাকায় এখন সবজির চাহিদা কম। তবে দু’দিন পর ঠিকই সবজির চাহিদা বাড়বে, তখন দামও বাড়বে। এখন যেসব সবজি মানুষ ২০-৩০ টাকায় কিনছেন, এ সবজিই দু’দিন পর ৫০-৬০ টাকা দিয়ে কিনে খাবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. সাইদুর বলেন, গতকাল আড়তে সবজি কম এসেছিল। আজ আড়তে সবজির অভাব নেই। দামও গতকালের তুলনায় কম। ফলে আমরা কিছুটা কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা যায়। যারা খুলেছেন তাদের কাছে সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের মাত্র তিনটি দোকান খোলা রয়েছে। এ দোকানগুলোতে চিংড়ি, রুই, মৃগেল মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা চিংড়ি মাছের কেজি চাচ্ছেন ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা। তবে মৃগেল মাছের কেজি আগের মতো ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের ব্যবসায়ী মনির বলেন, সবাই এখনো কোরবানির মাংস খাচ্ছে। মাছের প্রতি চাহিদা নেই। এ কারণে এখনো মাছের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। আড়তেও মাছ কম আসছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মাছের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।

মাংসের বাজারে যাওয়ার পর গরু ও খাসির মাংসের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। তবে কিছু মুরগির দোকান খোলা পাওয়া যায়।

এসব দোকানগুলোতে আগের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।