কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার পর জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। আড়ত গুলোতে ফিরে এসেছে কর্ম চাঞ্চল্যতা।
কক্সবাজারে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে ট্রলার বোঝাই করে জেলেরা ফিরছে আড়ত ঘাটে।
শহরের নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (ফিশারি ঘাটে) ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। ট্রলার থেকে খালাস করা ও হাঁকডাক দিয়ে বেচাকেনার কাজে ব্যস্ত জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
জেলেরা জানান, দুইমাস জেলে ও মৎস্যজীবীরা বেকার ছিল। ভরা মৌসুমের অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় জেলেদের মাঝে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আড়ত গুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বইছে। মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের যেন দম ফেলার সময় নেই।
সাগর থেকে একের পর এক ইলিশ ভর্তি করে নিয়ে ট্রলার আসছে আর শ্রমিকরা ট্রলার থেকে মাছ খালাস করে আড়ত গুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। আড়তদাররা খোলা ডাকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে।
এসব মাছ পিকআপ, ট্রাক ও পরিবহন যোগে দেশে বিভিন্ন বাজারে চালান করতেও দেখা গেছে। এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় এক দিনেই দাম বেশ কমেছে।
রফিক উদ্দিন নামে এক জেলে বলেন, গত মধ্যরাতে সাগর উন্মুক্ত হওয়ার পরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ সাগরে থাকার জন্য পর্যাপ্ত রসদ মজুদ ছিল।
কিন্থু সাগরে প্রচুর ইলিশ মাছ থাকায় আমরা সকালে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে জেটিঘাটে ফিরে আসি। ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বলে মনে করি।
মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, বর্তমানে সাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করি জেলেদের জালে যে ইলিশ ধরা পরবে এতেই বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে আনতে পারবে।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার পর গতকাল মধ্যরাতে জেলেরা প্রায় দু’শতাধিক বোট নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
আজ সকালে প্রায় ৫০ টি বোট মাছ নিয়ে ফিরে আসে। এরমধ্যে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি ইলিশ মাছের সংখ্যা বেশী।
সাগরে অবরোধ থাকার কারণে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।