ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, ক্ষোভ থেকে খুন

শাহ আলম

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শাহ আলম ও সায়েমা আক্তারের আট বছরের সংসার। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসবাস করতেন।

গাঁজা ব্যবসার সূত্র ধরে সায়েমা প্রায়ই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। সেই থেকে সাগর মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রণয়।

অবশেষে গত সাত মাস আগে শাহ আলমকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরকে বিয়ে করেন সায়েমা। দুই সন্তান সায়েমার সঙ্গে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে-মধ্যে সায়েমার বাসায় আসতেন শাহ আলম।

তবে সায়েমার দ্বিতীয় স্বামী সাগর বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এমনকি শাহ আলমকে বিভিন্ন সময় মারধরও করেন সাগর। একপর্যায়ে এই ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন শাহ আলম।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান শাহ আলম।

ঘটনার ১১ দিন পর গত ২৭ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সায়েমা।

সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে সায়েমাকে হত্যা করেন শাহ আলম। ঘটনার দিন সায়েমাকে বাসা থেকে রাস্তায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মাদকসেবী শাহ আলম।

এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় সায়েমার বড় ভাই মো. ফারুক সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এসি রাশেদ হাসান জানান, প্রায় আট বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সায়েমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহ আলমকে ডিভোর্স দেন সায়েমা। বিষয়টি শাহ আলম মেনে নিতে পারেননি। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সায়েমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মায়। সেই থেকেই তিনি সায়েমাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, ক্ষোভ থেকে খুন

আপডেট সময় ১২:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শাহ আলম ও সায়েমা আক্তারের আট বছরের সংসার। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসবাস করতেন।

গাঁজা ব্যবসার সূত্র ধরে সায়েমা প্রায়ই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। সেই থেকে সাগর মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রণয়।

অবশেষে গত সাত মাস আগে শাহ আলমকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরকে বিয়ে করেন সায়েমা। দুই সন্তান সায়েমার সঙ্গে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে-মধ্যে সায়েমার বাসায় আসতেন শাহ আলম।

তবে সায়েমার দ্বিতীয় স্বামী সাগর বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এমনকি শাহ আলমকে বিভিন্ন সময় মারধরও করেন সাগর। একপর্যায়ে এই ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন শাহ আলম।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান শাহ আলম।

ঘটনার ১১ দিন পর গত ২৭ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সায়েমা।

সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে সায়েমাকে হত্যা করেন শাহ আলম। ঘটনার দিন সায়েমাকে বাসা থেকে রাস্তায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মাদকসেবী শাহ আলম।

এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় সায়েমার বড় ভাই মো. ফারুক সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এসি রাশেদ হাসান জানান, প্রায় আট বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সায়েমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহ আলমকে ডিভোর্স দেন সায়েমা। বিষয়টি শাহ আলম মেনে নিতে পারেননি। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সায়েমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মায়। সেই থেকেই তিনি সায়েমাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।