ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী ম্যারাথন Logo বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প Logo নওগাঁয় ‘সিডেফ’ এর মানবাধিকার কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন Logo পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা Logo যাত্রাবাড়ীতে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে গোপালগঞ্জে লং মার্চ: নাহিদ ইসলাম Logo ইসরায়েলের ৩ সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা Logo ঢাকা বোর্ডের সামনে আজও এসএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, ক্ষোভ থেকে খুন

শাহ আলম

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শাহ আলম ও সায়েমা আক্তারের আট বছরের সংসার। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসবাস করতেন।

গাঁজা ব্যবসার সূত্র ধরে সায়েমা প্রায়ই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। সেই থেকে সাগর মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রণয়।

অবশেষে গত সাত মাস আগে শাহ আলমকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরকে বিয়ে করেন সায়েমা। দুই সন্তান সায়েমার সঙ্গে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে-মধ্যে সায়েমার বাসায় আসতেন শাহ আলম।

তবে সায়েমার দ্বিতীয় স্বামী সাগর বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এমনকি শাহ আলমকে বিভিন্ন সময় মারধরও করেন সাগর। একপর্যায়ে এই ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন শাহ আলম।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান শাহ আলম।

ঘটনার ১১ দিন পর গত ২৭ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সায়েমা।

সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে সায়েমাকে হত্যা করেন শাহ আলম। ঘটনার দিন সায়েমাকে বাসা থেকে রাস্তায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মাদকসেবী শাহ আলম।

এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় সায়েমার বড় ভাই মো. ফারুক সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এসি রাশেদ হাসান জানান, প্রায় আট বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সায়েমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহ আলমকে ডিভোর্স দেন সায়েমা। বিষয়টি শাহ আলম মেনে নিতে পারেননি। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সায়েমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মায়। সেই থেকেই তিনি সায়েমাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

ট্যাগস

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ

স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, ক্ষোভ থেকে খুন

আপডেট সময় ১২:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শাহ আলম ও সায়েমা আক্তারের আট বছরের সংসার। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসবাস করতেন।

গাঁজা ব্যবসার সূত্র ধরে সায়েমা প্রায়ই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। সেই থেকে সাগর মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রণয়।

অবশেষে গত সাত মাস আগে শাহ আলমকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরকে বিয়ে করেন সায়েমা। দুই সন্তান সায়েমার সঙ্গে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে-মধ্যে সায়েমার বাসায় আসতেন শাহ আলম।

তবে সায়েমার দ্বিতীয় স্বামী সাগর বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এমনকি শাহ আলমকে বিভিন্ন সময় মারধরও করেন সাগর। একপর্যায়ে এই ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন শাহ আলম।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান শাহ আলম।

ঘটনার ১১ দিন পর গত ২৭ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সায়েমা।

সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে সায়েমাকে হত্যা করেন শাহ আলম। ঘটনার দিন সায়েমাকে বাসা থেকে রাস্তায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মাদকসেবী শাহ আলম।

এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় সায়েমার বড় ভাই মো. ফারুক সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এসি রাশেদ হাসান জানান, প্রায় আট বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সায়েমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহ আলমকে ডিভোর্স দেন সায়েমা। বিষয়টি শাহ আলম মেনে নিতে পারেননি। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সায়েমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মায়। সেই থেকেই তিনি সায়েমাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।