ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল

স্টাফ রিপোর্টারঃ    ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল ৩টায় সংসদের বিশেষ বাজেট অধিবেশনে ‘অর্থনৈতিক   উত্তরণ ও ভতিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত ১১০ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।

এর আগে বাজেট ব্রিফকেসসহ অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামালকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়ে তাদের স্বাগত জানান।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট যা জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। সংসদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। এর পরই অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন করা হয়।

এর পরে সংসদে বাজেট উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্মতি দেন। আগে থেকেই সংসদ ভবনের রাষ্ট্রপতি দফতরে অবস্থান করছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে চলছে সংসদের আজকের অধিবেশন।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেট ব্যয়ের জন্য মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে ঘাটতির (অনুদানসহ) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আবর্তক ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এ আবর্তক ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে খরচ হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।

এছাড়া সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগসহ মূলধনী ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ব্যয় ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কর রাজস্ব আহরণ করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

পাশাপাশি করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। আয়ের দিক থেকে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

আপডেট সময় ০৪:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ    ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল ৩টায় সংসদের বিশেষ বাজেট অধিবেশনে ‘অর্থনৈতিক   উত্তরণ ও ভতিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত ১১০ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।

এর আগে বাজেট ব্রিফকেসসহ অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামালকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়ে তাদের স্বাগত জানান।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট যা জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। সংসদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। এর পরই অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন করা হয়।

এর পরে সংসদে বাজেট উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্মতি দেন। আগে থেকেই সংসদ ভবনের রাষ্ট্রপতি দফতরে অবস্থান করছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে চলছে সংসদের আজকের অধিবেশন।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেট ব্যয়ের জন্য মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে ঘাটতির (অনুদানসহ) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আবর্তক ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এ আবর্তক ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে খরচ হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।

এছাড়া সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগসহ মূলধনী ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ব্যয় ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কর রাজস্ব আহরণ করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

পাশাপাশি করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। আয়ের দিক থেকে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা।