ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানচাকু ধ্যানে অ্যাডিসন’স ডিজিজ জয় করলেন সুস্মিতা সেন

সুস্মিতা সেন

বিনোদন ডেস্কঃ  ২০১৪ সাল থেকেই অ্যাডিসন’স ডিজিজে ভুগছিলেন সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সেরে উঠেছেন তিনি।

ভক্তদের সঙ্গে তার সেই দুঃসাধ্য সংগ্রামের কথাই ভাগ করেছেন অভিনেত্রী। ফিটনেসের প্রতি সবসময়ই সচেতন সাবেক বিশ্বসেরা সুন্দরী সুস্মিতা সেন।

সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তার প্রেরণাদায়ক সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন ভক্তদের। সেখানে তিনি জানান মার্শাল আর্টের অস্ত্র নানচাকুর সঙ্গে তিনি কিভাবে ধ্যান করেছেন।

সুস্মিতা বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন আমার অ্যাডিসন’স ডিজিজ অর্থাৎ অটো ইম্যুন পরিস্থিতি ধরা পড়ে, তখন মনে হয়েছিল আমার সব শেষ। হতাশা আর বিষাদে আমার দেহ অবষন্ন হয়ে পড়ে।

চোখ ঘিরে কালো দাগ পড়ে। কিন্তু চার বছরের ভোগান্তির বর্ণনা এত সামান্য কথায় প্রকাশ করা সম্ভব না। স্টেরয়েড সাবস্টিটিউট গ্রহণ করা ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ্য করা চাট্টেখানি কথা ছিল না। দীর্ঘমেয়াদী অসুখ ভোগ করার যে কী কষ্ট তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।

এরপর তিনি লেখেন, আর সহ্য করা যাচ্ছিল না। এরপর আমি আমার মনকে শক্ত করার পথ খুঁজি, আমার শরীরকে আরও উপযুক্ত করার উপায় বেছে নিই।

আমি ধ্যানের জন্য নানচাকুর আশ্রয় নিই। অসুখের বিরুদ্ধে আমি পাল্টা সংগ্রাম শুরু করি। সময়ের সাথে সাথে আমার অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর স্টেরয়েড নেওয়ার দরকার পড়ে না। সেসাথে অটো ইম্যুন অবস্থাও দূর হয়ে যায়।

এর থেকে একটি শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেন সুস্মিতা, ‘আপনার চেয়ে আপনার শরীরকে আর কেউ বেশি বোঝে না। শরীরের কথা শুনুন। আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই একজন যোদ্ধা আছে। কখনো হাল ছাড়বেন না।

ট্যাগস

নানচাকু ধ্যানে অ্যাডিসন’স ডিজিজ জয় করলেন সুস্মিতা সেন

আপডেট সময় ০৫:২০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

বিনোদন ডেস্কঃ  ২০১৪ সাল থেকেই অ্যাডিসন’স ডিজিজে ভুগছিলেন সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সেরে উঠেছেন তিনি।

ভক্তদের সঙ্গে তার সেই দুঃসাধ্য সংগ্রামের কথাই ভাগ করেছেন অভিনেত্রী। ফিটনেসের প্রতি সবসময়ই সচেতন সাবেক বিশ্বসেরা সুন্দরী সুস্মিতা সেন।

সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তার প্রেরণাদায়ক সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন ভক্তদের। সেখানে তিনি জানান মার্শাল আর্টের অস্ত্র নানচাকুর সঙ্গে তিনি কিভাবে ধ্যান করেছেন।

সুস্মিতা বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন আমার অ্যাডিসন’স ডিজিজ অর্থাৎ অটো ইম্যুন পরিস্থিতি ধরা পড়ে, তখন মনে হয়েছিল আমার সব শেষ। হতাশা আর বিষাদে আমার দেহ অবষন্ন হয়ে পড়ে।

চোখ ঘিরে কালো দাগ পড়ে। কিন্তু চার বছরের ভোগান্তির বর্ণনা এত সামান্য কথায় প্রকাশ করা সম্ভব না। স্টেরয়েড সাবস্টিটিউট গ্রহণ করা ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ্য করা চাট্টেখানি কথা ছিল না। দীর্ঘমেয়াদী অসুখ ভোগ করার যে কী কষ্ট তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।

এরপর তিনি লেখেন, আর সহ্য করা যাচ্ছিল না। এরপর আমি আমার মনকে শক্ত করার পথ খুঁজি, আমার শরীরকে আরও উপযুক্ত করার উপায় বেছে নিই।

আমি ধ্যানের জন্য নানচাকুর আশ্রয় নিই। অসুখের বিরুদ্ধে আমি পাল্টা সংগ্রাম শুরু করি। সময়ের সাথে সাথে আমার অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর স্টেরয়েড নেওয়ার দরকার পড়ে না। সেসাথে অটো ইম্যুন অবস্থাও দূর হয়ে যায়।

এর থেকে একটি শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেন সুস্মিতা, ‘আপনার চেয়ে আপনার শরীরকে আর কেউ বেশি বোঝে না। শরীরের কথা শুনুন। আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই একজন যোদ্ধা আছে। কখনো হাল ছাড়বেন না।