আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় এক মাস পর সোমবার তিনি কাজে যোগ দিলেন।
বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকা দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন জনসন।
১০ দিন আইসোলেশনে থাকার পর হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন।
গত কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর জনসনের শরীর এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। ফলে সোমবার ডাউনিং স্ট্রীটে নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে করোনার লড়াইয়ে নতুন উদ্যোমে আবারও কাজ শুরু করবেন জনসন।
গত মাসে জনসনের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। শরীরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং কাশি নিয়েও একের পর এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন জনসন।
গত ৬ থেকে ৯ এপ্রিল তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। সেখানে করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে। তার শরীরে করোনা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিবর্তে এতদিন করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, সোমবার আবারও আগের মতোই কোভিড-১৯ নিয়ে সরকারের প্রাত্যহিক জরুরি বৈঠকে জনসন অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখনই ব্রিটেন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, জনসনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, আরও বেশ অনেকটা সময় ধরেই দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এই তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ হাজার ৭৩২ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৪। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৫৫৯ জন।