স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্র্যাকের জরুরি খাদ্য সহায়তা তহবিলে ১৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেবে গ্রামীণফোন, যা ব্র্যাককে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
এ উদ্যোগে প্রতি পরিবারকে ১৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। এ টাকা দিয়ে চার সদস্যের একটি পরিবার অন্তত দুই সপ্তাহের জরুরি খাবার কিনতে পারবে। এই এক লাখ পরিবার নির্বাচন এবং তাদের কাছে টাকা পৌঁছে দেবে ব্র্যাক।
শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক। এ মহতি উদ্যোগে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে যৌথ প্রচেষ্টায় তারা শুরু করেছে ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ ডিরেক্টর মৌটুসী কবির এবং গ্রামীণফোনের সাসটেইনিবিলিটি প্রজেক্ট লিড এম. হাফিজুর রহমান খান।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।
ইয়াসির আজমান বলেন, করোনা একটা বৈশ্বিক সঙ্কট। এখনই সময় সরকারি-বেসরকারি খাতকে এক সাথে সামনে এগিয়ে এসে কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ মোকাবিলা করা। যৌথ প্রচেষ্টায় এক সাথে শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামীণফোন আজ ব্র্যাকের সাথে যুক্ত হয়েছে ১ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার জন্য।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ বলেন, গ্রামীণফোনের মহৎ উদ্যোগ ও সহায়তায় বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা—বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী কিংবা স্তন্যদানকারী মা, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ, নারী উপার্জনকারীর ও পরনির্ভরশীল পরিবার, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং অন্য কোনো উৎস থেকে সহায়তা বঞ্চিত ব্যক্তি ও পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্র্যাক প্রতি পরিবারকে ১৫০০ করে টাকা দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণফোন প্রধান বলেন, অনেকে ভাবছেন এই টাকা বুঝি যারা ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত আছেন বা ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা তারাই পাবেন, কিন্তু না আর্থিকভাবে অসচ্ছল যে কেউ এই অর্থ পেতে পারেন।