স্টাফ রিপোর্টারঃ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির সপ্তম বছর পূর্ণ হয়েছে আজ (শুক্রবার)। সাত বছর আগে দেশের পোশাক শিল্পে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় এই ট্র্যাজেডি গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দেয়।
২০১৩ সালের এ দিনে সাভারে ধসে পড়েছিল ৯ তলা ভবন রানা প্লাজা। ইট কংক্রিটে চাপা পড়ে হারিয়ে যায় হাজারেরও বেশি তাজা প্রাণ। জীবন ফিরে পেলেও শত শত শ্রমিককে পঙ্গুত্ব মেনে নিতে হয়েছে।
ঘটনার সাত বছর পার হয়ে গেলেও এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিক ও তার স্বজনেরা এখনও সুবিচার পাননি। বিচার হয়নি অভিযুক্তদের।
নিহত শ্রমিকদের স্বজনেরা যেমন যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি, তেমনি যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় আহত অনেক শ্রমিকই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে আজও ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে।
হতাহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবছরই এই দিনে সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন। তবে দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর কোনো কর্মসূচি রাখেনি সংগঠনগুলো।
এদিকে, সাত বছরেও সাভারের রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সিপিবি।
এ ব্যাপারে সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে নিহত শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, যে শ্রমিক দেশের মানুষের আহার যোগাতে গিয়ে মালিক শ্রেণির অতিমুনাফা লোভের জন্য খুন হয়েছে দেশবাসী তাদের কখনোই ভুলবে না।
নেতৃবৃন্দ এই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান। একইসাথে দ্রুত বিচার ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত অবস্থায় এবং ১ হাজার ১১৭ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৯ জন মারা যান।
সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৬ জনে। আহত হন ১ হাজার ৫শ’ ২৪ জন।২৯১টি লাশ অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে ১৫৭টি লাশের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।