ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

করোনা ভাইরাস; প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ১৪ লাখ টাকার দুধ

প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ১৪ লাখ টাকার দুধ

স্টাফ রিপোর্টারঃ  করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দুগ্ধপল্লিতেও। সাতক্ষীরার তালা সদরের ঘোষপাড়া এলাকায় প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৪৫-৫০ হাজার লিটার দুধ। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা

দুগ্ধ সমিতির ভাষ্যমতে, টাকার হিসেবে প্রতিদিন ১৩-১৪ লাখ টাকার দুধ নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, তালা সদরের জেয়ালা, আটারই ও জেয়ালা নলতা গ্রামে প্রায় ১২ হাজারের বেশি গাভি রয়েছে। খামারির সংখ্যা কয়েকশ। এসব খামার থেকে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যার বেশিরভাগ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায়।

milk-cover

তালা দুগ্ধ সমিতির সভাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, মিল্কভিটা দৈনিক ৮ হাজার লিটার ও আকিজ ৫-৭শ লিটার দুধ সংগ্রহ করে। বিনেরপোতা এলাকায় ৪শ লিটার দুধ নেয়। সব মিলিয়ে ১০ হাজার লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে। বাকি ৪০ হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে।

এসব দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বিভিন্ন বেসরকারি ফার্মে বিক্রি হতো। এলাকায় কিছু দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা লিটার দরে। বাকি দুধ নষ্ট হচ্ছে। ফলে খামারিরা পড়েছেন বিপাকে।

milk-in-(1)

জেয়ালা ঘোষপাড়ার সুভাষ ঘোষ বলেন, ‘আমার প্রতিদিন হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে। কিছু দুধ ১০ টাকা কেজি দরে এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে। সরকার যদি এ দুধ সংগ্রহ করে ত্রাণ দিতো, তবে খামারিরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।’

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিল্কভিটার মাধ্যমে এ দুধ সংগ্রহ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। তিনিও এতে সম্মতি দিয়েছেন।’

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া চ্যাম্পিয়নরা আজ রাতে দেশে ফিরছেন

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

করোনা ভাইরাস; প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ১৪ লাখ টাকার দুধ

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দুগ্ধপল্লিতেও। সাতক্ষীরার তালা সদরের ঘোষপাড়া এলাকায় প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৪৫-৫০ হাজার লিটার দুধ। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা

দুগ্ধ সমিতির ভাষ্যমতে, টাকার হিসেবে প্রতিদিন ১৩-১৪ লাখ টাকার দুধ নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, তালা সদরের জেয়ালা, আটারই ও জেয়ালা নলতা গ্রামে প্রায় ১২ হাজারের বেশি গাভি রয়েছে। খামারির সংখ্যা কয়েকশ। এসব খামার থেকে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যার বেশিরভাগ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায়।

milk-cover

তালা দুগ্ধ সমিতির সভাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, মিল্কভিটা দৈনিক ৮ হাজার লিটার ও আকিজ ৫-৭শ লিটার দুধ সংগ্রহ করে। বিনেরপোতা এলাকায় ৪শ লিটার দুধ নেয়। সব মিলিয়ে ১০ হাজার লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে। বাকি ৪০ হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে।

এসব দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বিভিন্ন বেসরকারি ফার্মে বিক্রি হতো। এলাকায় কিছু দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা লিটার দরে। বাকি দুধ নষ্ট হচ্ছে। ফলে খামারিরা পড়েছেন বিপাকে।

milk-in-(1)

জেয়ালা ঘোষপাড়ার সুভাষ ঘোষ বলেন, ‘আমার প্রতিদিন হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে। কিছু দুধ ১০ টাকা কেজি দরে এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে। সরকার যদি এ দুধ সংগ্রহ করে ত্রাণ দিতো, তবে খামারিরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।’

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিল্কভিটার মাধ্যমে এ দুধ সংগ্রহ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। তিনিও এতে সম্মতি দিয়েছেন।’