আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯১৩। এরমধ্যে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করো নাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।
তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ৯১৮।
মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৬০৮ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৪৬৫। আর আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৫১৬ জন।
মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৫৬। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৯৯।
উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৪৫। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।
করোনা ভাইরাসের মহামারি এখনো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি বলে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
স্বনামধন্য মার্কিন বুদ্ধিজীবী নোম চমস্কি বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে এ ব্যাপারে বিপুল তথ্য বিশ্বের কাছে ছিল। তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এই ভাইরাসের মহামারি ঠেকানো যেত।
তবে মুনাফাবাজ ও দায়িত্বহীন রাজনৈতিক ও বাজার-ব্যবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে করোনার চেয়েও বড় দুই বিপদ আসছে। এর একটি হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা, অপরটি সম্ভাব্য একটি পরমাণু যুদ্ধ।