ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদাকে বাসায় নিতে হাসপাতালে ফখরুল ও স্বজনরা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টারঃ  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পৌঁছেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তারা হাসপাতালে পৌঁছান। এ সময় খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি গাড়িও প্রবেশ করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবেশ করলে হাসপাতালে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি কিছুটা বিরক্ত বোধ করেন।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন বেগম সেলিনা ইসলাম হাসপাতালে গেছেন।

সরকারের দেয়া শর্তের ভিত্তিতে আজ যেকোনো সময় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার সাজা স্থগিতের ফাইলটি বর্তমানে কারা অধিদফতরে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়া পাবেন।

দেখা গেছে, পরিবারের সদস্যরা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন। এরই মধ্যে চারজন ডাক্তার ও একজন নার্স ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তারা খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসবেন। ওনার ব্যক্তিগত গাড়িতে গুলশানের বাসায় নেয়া হবে।

খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। এদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক তার বাসায় সংবাদ ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়াকে বেশকিছু শর্ত পালন করতে হবে উল্লেখ করে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে। এই সময় দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি।’

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি তার ছোট ভাইয়ের জিম্মায় থাকবেন। এ সময় তিনি কেন রাজনীতি করবেন?

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজনের কাছে পৌঁছেছে। সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যাবে। জেল সুপার ওই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাবেন।

খালেদা মুক্তির পর সংবর্ধনা দিতে বিএসএমএমইউর সামনে নেতাকর্মীরা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন আজ। এ খবরে পরিবারের সদস্য ও বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন।

বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আটক খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় আছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের কয়েকজন নেতা, মহিলা দল ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। পরিবারের সদস্য, বিএসএমএমইউর সামনে কারা কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।

খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির দুটি মামলায় সাজা ভোগ করছেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।

ট্যাগস

খালেদাকে বাসায় নিতে হাসপাতালে ফখরুল ও স্বজনরা

আপডেট সময় ০৪:২২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পৌঁছেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তারা হাসপাতালে পৌঁছান। এ সময় খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি গাড়িও প্রবেশ করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবেশ করলে হাসপাতালে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি কিছুটা বিরক্ত বোধ করেন।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন বেগম সেলিনা ইসলাম হাসপাতালে গেছেন।

সরকারের দেয়া শর্তের ভিত্তিতে আজ যেকোনো সময় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার সাজা স্থগিতের ফাইলটি বর্তমানে কারা অধিদফতরে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়া পাবেন।

দেখা গেছে, পরিবারের সদস্যরা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন। এরই মধ্যে চারজন ডাক্তার ও একজন নার্স ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তারা খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসবেন। ওনার ব্যক্তিগত গাড়িতে গুলশানের বাসায় নেয়া হবে।

খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। এদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক তার বাসায় সংবাদ ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়াকে বেশকিছু শর্ত পালন করতে হবে উল্লেখ করে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে। এই সময় দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি।’

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি তার ছোট ভাইয়ের জিম্মায় থাকবেন। এ সময় তিনি কেন রাজনীতি করবেন?

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজনের কাছে পৌঁছেছে। সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যাবে। জেল সুপার ওই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাবেন।

খালেদা মুক্তির পর সংবর্ধনা দিতে বিএসএমএমইউর সামনে নেতাকর্মীরা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন আজ। এ খবরে পরিবারের সদস্য ও বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন।

বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আটক খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় আছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের কয়েকজন নেতা, মহিলা দল ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। পরিবারের সদস্য, বিএসএমএমইউর সামনে কারা কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।

খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির দুটি মামলায় সাজা ভোগ করছেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।