ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে বাঁচলেন এক মুসলিম চীনে করোনা থেকে !

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ  বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রতিকার নিয়ে যখন সমস্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ব্যর্থপ্রায়, তখন চীনের এক মুসলিম যুবক জানিয়েছে তার করোনা থেকে বেঁচে ওঠার ঘটনা। যা ইতোমধ্যে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বিশ্বজুড়ে। সম্প্রতি তার একটি লেখা ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটজুড়ে। পাঠকদের জন্য আমরা এখানে তার অনুবাদ উপস্থাপন করছি। তিনি লিখেছেন :‘বিসমিল্লাহ। 

চীনের উহান শহরে লকডাউনের কয়েকদিন পরেই আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে মাথাব্যথা অনুভব করলাম। এর সাথে সাথে আমি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টেও ভোগা শুরু করলাম। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শয্যাশায়ী হবার সাথে সাথেই বুঝতে পারলাম খুব খারাপ কিছু একটা ঘটেছে।

ডাক্তার আমাকে সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিলেন। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন কিছু জিনিস আমাকে সাহায্য করেছে। কোয়ারেন্টিন থেকে আজকেই বের হয়ে কথাগুলো শেয়ার করছি, যাতে অন্যরাও এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।

১) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী, আমি নিয়মিত মধুর সাথে গোল মরিচ খাওয়া শুরু করলাম। মধুতে নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে আর গোলমরিচ এন্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহ প্রতিরোধক)।

২) দৈনন্দিন কুরআনিক এবং মাসনুন দুয়াসমূহ পাঠ করি।

৩) হলুদের জুস পান করতে শুরু করি (এটি নিরাময়কারী হিসেবে প্রমাণিত)

৪) কালোজিরা (তেল)।

এক সন্ধ্যায়, আমি ভাবলাম অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া আমি আর শ্বাস নিতে পারব না। হাসপাতালের জন্য বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তেই, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দুয়া করলাম এবং অবিশ্বাস্যভাবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমার অন্তরে এই কথা ঢেলে দিলেন যে, আমার কালোজিরার ধোঁয়ার সাহায্য নেওয়া উচিত।

কালোজিরাকে আমার ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য আমি পানিতে কালোজিরার তেল মেশালাম এবং সুরা ফাতিহা ও মুয়াওয়িযাতাইন (সুরা নাস ও ফালাক) পড়ে এতে ফুঁ দিলাম।

এরপর নিশ্বাসের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা টেনে নিলাম। এটা আমাকে অসম্ভব স্বস্তি দিল। আমি এটা নিয়মিত করতে লাগলাম এবং আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগলাম।

রাসুল (সা.) বলেছেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ।’

ট্যাগস

যেভাবে বাঁচলেন এক মুসলিম চীনে করোনা থেকে !

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ  বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রতিকার নিয়ে যখন সমস্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ব্যর্থপ্রায়, তখন চীনের এক মুসলিম যুবক জানিয়েছে তার করোনা থেকে বেঁচে ওঠার ঘটনা। যা ইতোমধ্যে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বিশ্বজুড়ে। সম্প্রতি তার একটি লেখা ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটজুড়ে। পাঠকদের জন্য আমরা এখানে তার অনুবাদ উপস্থাপন করছি। তিনি লিখেছেন :‘বিসমিল্লাহ। 

চীনের উহান শহরে লকডাউনের কয়েকদিন পরেই আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে মাথাব্যথা অনুভব করলাম। এর সাথে সাথে আমি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টেও ভোগা শুরু করলাম। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শয্যাশায়ী হবার সাথে সাথেই বুঝতে পারলাম খুব খারাপ কিছু একটা ঘটেছে।

ডাক্তার আমাকে সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিলেন। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন কিছু জিনিস আমাকে সাহায্য করেছে। কোয়ারেন্টিন থেকে আজকেই বের হয়ে কথাগুলো শেয়ার করছি, যাতে অন্যরাও এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।

১) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী, আমি নিয়মিত মধুর সাথে গোল মরিচ খাওয়া শুরু করলাম। মধুতে নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে আর গোলমরিচ এন্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহ প্রতিরোধক)।

২) দৈনন্দিন কুরআনিক এবং মাসনুন দুয়াসমূহ পাঠ করি।

৩) হলুদের জুস পান করতে শুরু করি (এটি নিরাময়কারী হিসেবে প্রমাণিত)

৪) কালোজিরা (তেল)।

এক সন্ধ্যায়, আমি ভাবলাম অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া আমি আর শ্বাস নিতে পারব না। হাসপাতালের জন্য বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তেই, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দুয়া করলাম এবং অবিশ্বাস্যভাবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমার অন্তরে এই কথা ঢেলে দিলেন যে, আমার কালোজিরার ধোঁয়ার সাহায্য নেওয়া উচিত।

কালোজিরাকে আমার ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য আমি পানিতে কালোজিরার তেল মেশালাম এবং সুরা ফাতিহা ও মুয়াওয়িযাতাইন (সুরা নাস ও ফালাক) পড়ে এতে ফুঁ দিলাম।

এরপর নিশ্বাসের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা টেনে নিলাম। এটা আমাকে অসম্ভব স্বস্তি দিল। আমি এটা নিয়মিত করতে লাগলাম এবং আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগলাম।

রাসুল (সা.) বলেছেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ।’