ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের ৩ সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরাইলের তিনটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং চারটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে হুথি যোদ্ধারা। খবর মেহের নিউজের।

লক্ষ্যবস্তুগুলো হলো- ইসরাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন, নেগেভ মরুভূমিতে একটি ইসরাইলি সামরিক স্থাপনা এবং অধিকৃত ইলাতে ইসরাইলি সরকারের একমাত্র লোহিত সাগর বন্দর।

হুথির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্রথম অভিযানে বিমানবন্দরে জুলফিকার ধরণের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

তিনি বলেন, এই হামলার ফলে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়, যার ফলে ইসরাইল সরকারের ‘লাখ লাখ’ অবৈধ বসতি স্থাপনকারী আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তী অভিযানে বিমানবন্দর, সামরিক স্থাপনা এবং সমুদ্রবন্দরে চারটি সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেন তার সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করতে দ্বিধা করবে না। ’

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর সংহতি অভিযানের অংশ হিসেবে যোদ্ধাদের আরোপিত নৌ অবরোধের ফলে ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকটের কারণে সরকার ইলাত বন্দরটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এই হামলার খবর এলো।

কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধ বন্দরের কার্যকলাপকে কার্যকরভাবে বিকল করে দিয়েছে, যা একসময় শাসনের সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ট্যাগস

ইসরায়েলের ৩ সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ইসরাইলের তিনটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং চারটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে হুথি যোদ্ধারা। খবর মেহের নিউজের।

লক্ষ্যবস্তুগুলো হলো- ইসরাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন, নেগেভ মরুভূমিতে একটি ইসরাইলি সামরিক স্থাপনা এবং অধিকৃত ইলাতে ইসরাইলি সরকারের একমাত্র লোহিত সাগর বন্দর।

হুথির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্রথম অভিযানে বিমানবন্দরে জুলফিকার ধরণের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

তিনি বলেন, এই হামলার ফলে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়, যার ফলে ইসরাইল সরকারের ‘লাখ লাখ’ অবৈধ বসতি স্থাপনকারী আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তী অভিযানে বিমানবন্দর, সামরিক স্থাপনা এবং সমুদ্রবন্দরে চারটি সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেন তার সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করতে দ্বিধা করবে না। ’

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর সংহতি অভিযানের অংশ হিসেবে যোদ্ধাদের আরোপিত নৌ অবরোধের ফলে ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকটের কারণে সরকার ইলাত বন্দরটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এই হামলার খবর এলো।

কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধ বন্দরের কার্যকলাপকে কার্যকরভাবে বিকল করে দিয়েছে, যা একসময় শাসনের সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।