ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সাবেক এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম তারিন হোসেনের ওই সম্পত্তি জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মজিবুর রহমান চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে মোট ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তকালে জানা যায়, মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী গুলশান আবাসিক এলাকাস্থিত ১০ কাঠা তিন ছটাক জমির ওপর নির্মিত দি সেরেনিটি নামে দুটি বেজমেন্টসহ ১৩তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার (একটি গ্যারেজ ও কমনস্পেস-সহ) সর্বমোট ৫১৭২ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট এবং অচিহ্নিত ১৭০ অযুতাংশ ভূমি রয়েছে।

দুদক বলছে, এ সম্পদ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি এলটমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী মজিবুর রহমান চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী মুনতারীন মুজিব চৌধুরীর নামে করা হয়। পরে তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। যা মজিবুর রহমান চৌধুরী তার অর্জিত অবৈধ অর্থ দ্বারা ক্রয় করেন। দুদকের তদন্ত শুরুর পর থেকে আসামি বর্ণিত স্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করেছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।

এজন্য বর্ণিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন। বর্ণিত সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা না হলে তা অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত হওয়ারসমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। শুনানি শেষে বিচারক ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

আপডেট সময় ০৪:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম তারিন হোসেনের ওই সম্পত্তি জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মজিবুর রহমান চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে মোট ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তকালে জানা যায়, মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী গুলশান আবাসিক এলাকাস্থিত ১০ কাঠা তিন ছটাক জমির ওপর নির্মিত দি সেরেনিটি নামে দুটি বেজমেন্টসহ ১৩তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার (একটি গ্যারেজ ও কমনস্পেস-সহ) সর্বমোট ৫১৭২ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট এবং অচিহ্নিত ১৭০ অযুতাংশ ভূমি রয়েছে।

দুদক বলছে, এ সম্পদ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি এলটমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী মজিবুর রহমান চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী মুনতারীন মুজিব চৌধুরীর নামে করা হয়। পরে তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। যা মজিবুর রহমান চৌধুরী তার অর্জিত অবৈধ অর্থ দ্বারা ক্রয় করেন। দুদকের তদন্ত শুরুর পর থেকে আসামি বর্ণিত স্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করেছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।

এজন্য বর্ণিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন। বর্ণিত সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা না হলে তা অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত হওয়ারসমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। শুনানি শেষে বিচারক ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন।