হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘সীমিত’ স্থল অভিযান ঘোষণা করার পর ইসরায়েলি সৈন্যরা লেবাননে প্রবেশ করেছে। গাজার মতো লেবাননেও এখন ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে আরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে । এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলার কারণে দেশজুড়ে ১০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়ে থাকতে পারে। তার মতে, এটাই ‘সবচেয়ে বড়’ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৈরুতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ হত্যার দুদিন পর রোববারও বিমান হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে আরও রকেট ছুঁড়েছে।ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ‘বড় ধরনের’ বিমান হামলা চালিয়েছে।অপরদিকে হিজবুল্লাহ বা ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে ওয়াশিংটন বলেছে, বড় ধরনের সংঘাত হলে ইসরায়েলের উত্তরে যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঘরে ফেরা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।