সাম্প্রতিককালে ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ খাতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রদানের সময় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে সাম্প্রতিককালে আকস্মিক বন্যায় ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় জানমালের ক্ষতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
এর ফলে অনেক গবাদি পশুর মৃত্যু এবং ভেসে যাওয়াসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খাদ্য এবং অন্যান্য পশুখাদ্য বিনষ্ট হয়। এই খাতে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দুধ, ডিমসহ প্রায় ৪১১কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।’
উপদেষ্টা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু পদ্মক্ষেপ ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো, জরুরি পশুখাদ্য সরবরাহ ও বিতরণ; গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদান; ঘাসের কাটিং বিতরণ।
একইভাবে মৎস্য খাতেও চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।