ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথ বাক্য পাঠের আদেশ জারি করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, শপথ বাক্য থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দপ্তরটির পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক লুৎফুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিন সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সরকার নিম্নোক্ত শপথ বাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

২০২২ সালে সরকার স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসায় নতুন শপথ বাক্য পাঠ করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়। শপথ বাক্যটি হলো-

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।

ট্যাগস

প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথ বাক্য পাঠের আদেশ জারি করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, শপথ বাক্য থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দপ্তরটির পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক লুৎফুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিন সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সরকার নিম্নোক্ত শপথ বাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

২০২২ সালে সরকার স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসায় নতুন শপথ বাক্য পাঠ করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়। শপথ বাক্যটি হলো-

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।