শারীরিক অবস্থার কারণে রাজনীতির ওপর আগ্রহ হারিয়েছি। সম্প্রতি আমার নেতৃত্বে নতুন দল গঠনের যে গুঞ্জন উঠেছিল এই তথ্য সঠিক নয়। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বনানীতে হাফিজের নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিনি বলেন, রাজনীতির ওপর আগ্রহ হারিয়েছি। বিএনপির রাজনীতি থেকেও দূরে আছি। শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নই। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দৃষ্টিতে এসেছে। আমি কোনো দল খুলছি না। বেগম জিয়া আমার নেত্রী, তিনি বাইরে থাকতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।
বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে দল থেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গেই থাকব। মেজর হাফিজ বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই। খুব শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব। তবে বিএনপি যদি এবার নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে বিএনপি থেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
নিজেকে দেওয়া বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় ১১টি অভিযোগে। বলা হয়, দলের নির্দেশ ছাড়া সরকারবিরোধী মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শওকত মাহমুদের সঙ্গে কোনো মিছিলে যোগ দেইনি। তার সাথে কোনো যোগাযোগ আগেও ছিল না, এখনও নেই। তারপরও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
তিনি আরও বলেন, চিঠির জবাব দেওয়ার পর আমি জানি না, সে চিঠি গ্রহণ হয়েছে কিনা, না বাতিল হয়েছে। এমন আচরণ আমি ডিজার্ভ করি না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। মেজর হাফিজ বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে বিএনপি এত বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে।