চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে গড়ে তোলা পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২২ বছরের জন্য চুক্তি করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটিই হবে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি কম্পানির বন্দর পরিচালনা। এত দিন চট্টগ্রাম বন্দরের সব কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করত সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড।
গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় জি টু জির মাধ্যমে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রেড সি গেটওয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই টার্মিনালে ব্যবহারের যন্ত্রপাতি সৌদি প্রতিষ্ঠানকেই আনতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তৃতীয় দফায় ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের সময়। টার্মিনালের কাজ শেষ হয় গত বছরের জুলাইতে। প্রকল্পের শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরেরই টার্মিনালটি পরিচালনার কথা ছিল।
পরবর্তী সময়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) আওতায় বিদেশি অপারেটর দিয়ে পিসিটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পিসিটিতে তিনটি কনটেইনার জেটি এবং একটি ডলফিন অয়েল জেটি রয়েছে। অর্থাৎ এই টার্মিনালে একসঙ্গে তিনটি কনটেইনার জাহাজ এবং একটি তেলবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে জাহাজ আসতে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু পিসিটি কর্ণফুলীর মোহনা থেকে দূরত্ব ছয় কিলোমিটার। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জাহাজগুলো সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে অবস্থান নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যাত্রাপথে পেরোতে হবে না কোনো বিপজ্জনক বাঁধ।