ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: শিক্ষককে ৩ বছর কারাদণ্ড

নওগাঁর সাপাহারে মাদরাসাছাত্রীকে যৌনহয়রানি করায় আব্দুস সালাম (৩৮) নামে এক শিক্ষককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর মাদরাসার ছাত্রীরা যোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে শিক্ষক আব্দুস সালাম পড়নের লুঙ্গি খুলে খারাপ অঙ্গ ভঙ্গি করেন এবং এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সাপাহার থানায় অভিযোগ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর আদালত ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২২ অক্টোবর উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শুনে রোববার মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মকবুল হোসেন ও আসামী পক্ষে আইনজীবী আবু জাইদ মো. রফিকুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: শিক্ষককে ৩ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:২৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

নওগাঁর সাপাহারে মাদরাসাছাত্রীকে যৌনহয়রানি করায় আব্দুস সালাম (৩৮) নামে এক শিক্ষককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর মাদরাসার ছাত্রীরা যোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে শিক্ষক আব্দুস সালাম পড়নের লুঙ্গি খুলে খারাপ অঙ্গ ভঙ্গি করেন এবং এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সাপাহার থানায় অভিযোগ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর আদালত ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২২ অক্টোবর উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শুনে রোববার মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মকবুল হোসেন ও আসামী পক্ষে আইনজীবী আবু জাইদ মো. রফিকুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।