আগামী ৩১ অক্টোবর (সোমবার ) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল জেলে বাকিদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে অবরোধে নেতৃত্ব দেবে কে? বিএনপির আগের অবরোধ কবে শেষ হয়েছে, সেটাও মানুষ জানে না।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মহানগর, সহযোগী সংগঠন ও নির্বাচিত দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথসভায় একথা বলেন তিনি। বিএনপির অবরোধ থেকে দেশের উন্নয়ন স্থাপনা রক্ষায় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূ্র্ণ অবস্থানে থাকবে, সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ২৮ অক্টোবর শত উসকানি সত্ত্বেও শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিক্টরি মনোভাব দেখেছি, এটাই আমাদের বিজয়। এটাই বিরোধীদের ব্যর্থ আন্দোলনের বিরুদ্ধে নির্বাচনমুখী আমাদের বিজয়ের অভিযাত্রা। এসময় দলে শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। নির্বাচন চাইলে বিএনপি এমন সহিংসতা করতো না। এত নির্মমভাবে একজন পুলিশকে হত্যা করতে পারে। এটাই বিএনপির আসল রুপ। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে, কারো জন্য বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায়, বড় দল হিসেবে বিএনপির অংশগ্রহণ চায়। কাউকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের পরিকল্পনা নেই সরকারের। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না সেটা সরকারের বিষয় নয়। দলের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করেন, দেশের বর্তমান অবস্থার নিরিখে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে, টানা চতুর্থ বারের মতো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কর্মীরা এখন বলছে তারেক রহমান ভুয়া, মির্জা ফখরুলও ভুয়া। এক দফা আন্দোলনও ভুয়া। কান টানলাম জীবনেও আর আসবো না। এই দল করবো না, কান ধরে বলেছে। বিএনপির আন্দোলনের পতন গোলাপবাগে শুরু হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।