বাংলাদেশকে সবচেয়ে বিনিয়োগবান্ধব ও সম্ভাবনার দেশ দাবি করে এদেশে বিনিয়োগ করার জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্থানীয় সময় সোমবার ‘রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার’ শীর্ষক বাংলাদেশ-ফ্রান্স বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেখানে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অবকাঠামোগত সুবিধা, সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর, আন্তদেশীয় রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ নানা কারণে বাংলাদেশ আজ সবচেয়ে বিনিয়োগবান্ধব ও সম্ভাবনার দেশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এমন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা পণ্যের বাজার ভারত, মিয়ানমার, নেপাল এমনকি চীন পর্যন্ত বিস্তার করা সহজ।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের চিন্তা করছে প্যারিস। দেড় মাস আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করেছেন। এই সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’
সম্মেলনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বে ফ্রান্স একটি বৃহত্তম বাজার। এই বাজারে বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশকে ফ্রান্স পার্টনার মনে করে। এটাই আজকের পরিবর্তন।’
ফ্রান্স-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পিয়েরে জিন মালগুয়েরেস বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য জানতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসে বিজনেস ডেলিগেশন যাবে। তারা সেখানের পরিস্থিতি দেখে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।’ প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এমতালহা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিএসইসি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশের বক্তারা আগত বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠান, ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের কাছে এ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, শেয়ারবাজার ও সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুই দেশের দূতাবাস এ সম্মেলনের সহযোগী।