পশ্চিমে আত্রাই নদী এলাকা থেকে এসে পাকা সড়কের কালভার্ট পেড়িয়ে চলে গেছে পূঁবে। কিছুদূর গিয়ে আবার উত্তর দক্ষিণ দুদিকে চলে গেছে। মহাদেবপুর বচনা খাড়িতে গিয়ে ঠেকেছে। ১০ কিলোমিটারের বেশি। এর দুধারে লাগানো হয়েছে সারি সারি কাজু বাদামের গাছ। পাকা সড়কের পাশেই খাড়ির দুধারে গাছগুলোর সারি যে কোরো নজর কাড়বে।
স্থানীয়রা জানালেন, এই গাছগুলো যে এত দামি তা তারা জানতেন না। খাড়ির দুধারেই রয়েছে ধানখেত। গাছগুলো বড় হলে গাছের ছাঁয়ায় ফসলের ক্ষতি হবে। এই ভেবে অনেকেই গোপনে অনেক গাছ কেটে ফেলে নষ্ট করেছেন। তবুও কয়েকশ’ কাজু বাদামের গাছ এখন বড় হয়ে গেছে।
এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিঞা জানালেন, দুবছর আগে কাজু বাদামের চারাগুলো লাগিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের লোকেরাও এগুলোর দেখভাল করেছে। গাছগুলো খুবই দামি। এই এলাকায় এভাবে এতবেশি কাজু বাদামের গাছ বেড়ে ওঠা এটাই প্রথম। এগুলো দেখে মানুষ তৃপ্ত হন। বাদাম ধরা শুরু হলে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।
বিএমডিএ মহাদেবপুর জোনের সহকারি প্রকৌশলী ইমদাদুল হক জানালেন, কালনা খাড়ির দুধারে পাঁচশ’ কাজু বাদামের চারা লাগানো হয়। লাগানোর সময় প্রতিটি গাছে টোপা দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়, যাতে গরু ছাগলে গাছগুলো নষ্ট করতে না পারে। বিএমডিএ এর ওয়াচাররা এখনও নিয়মিত পরিচর্যা করে থাকেন। ফলে অল্প সময়েই গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আর মাত্র বছর খানেকের মধ্যেই বাদাম ধরবে বলে জানান তিনি। এই খাড়ির দুধার ছাড়াও কয়েকশ’ চারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়েও দেয়া হয়। বাদাম ধরা শুরু হলে এগুলো যেন যে কেউ নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
বাজারে এখন কাজু বাদামের কদর আর দাম দুটোই বেশি। আমদানি কম জন্য দাম আরো বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী জীবন মন্ডল জানান, এখন প্রতিকেজি কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার দুশ’ টাকায়। আমাদের নিজেদের এলাকায় এ বাদাম পাওয়া গেলে এর বিক্রি আরো বাড়বে, দামও অনেক কমবে বলে তিনি মনে করেন।