ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি Logo যাত্রাবাড়ীতে ফের হাসনাত-সারজিসের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা Logo বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত Logo সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকাতে হবে: মামুনুল হক Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয় Logo ২০০ টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo কর ফাঁকির ২ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

অস্ত্র বানানোর টাকা উন্নয়নে ব্যয় হোক, যুদ্ধ চাই না : প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাজায় হাসপাতালে হামলার করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে বিশ্বের শিশুদের খাবার ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করুন। যুদ্ধ, অস্ত্র মানুষের মঙ্গল আনে না। এ যুদ্ধ বন্ধ করুন।

আজ বুধবার (অক্টোবর ১৮) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উদ্বোধন এবং শেখ রাসেল প্রদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরাইল। এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা, বাবা-মা হারায় সন্তানদের। দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে।
সেখানেও শিশু মারা গেছে। অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নের ব্যয় হোক, আমরা চাই। যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলব, যুদ্ধ বন্ধ করেন।

অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। আমরা যুদ্ধ চাইনা, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বরং অস্ত্র বানানো এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থ সারা বিশ্বের শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও তাদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হোক, এটাই আমাদের দাবি। আমরাই সেটাই চাই।
শিশুদের মন দিয়ে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি চাই আমাদের শিশুরা লেখাপড়া শিখবে, ছোট্ট সোনা মনিরা তোমরা গুরুজনের কথা মেনে চলবে, বাবা-মায়ের কথা মেনে চলবে, তোমরা লেখাপড়া শিখবে। একটা কথা মনে রাখবে ধন-সম্পদ টাকা-পয়সা কিছুই থাকে না। কিন্তু বিদ্যাটা থাকে, শিক্ষাটা থাকে। এই শিক্ষাটাই হচ্ছে মূল শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের মাঝে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে যে তারা মানুষের মতো মানুষ হবে। ওই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং দেশকে  এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো, আজকে শিশু-কিশোররাই তো স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত, সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে রাসেলের স্মৃতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল (অব.) অশোক কুমার তারার ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

অস্ত্র বানানোর টাকা উন্নয়নে ব্যয় হোক, যুদ্ধ চাই না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:২৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাজায় হাসপাতালে হামলার করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে বিশ্বের শিশুদের খাবার ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করুন। যুদ্ধ, অস্ত্র মানুষের মঙ্গল আনে না। এ যুদ্ধ বন্ধ করুন।

আজ বুধবার (অক্টোবর ১৮) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উদ্বোধন এবং শেখ রাসেল প্রদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরাইল। এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা, বাবা-মা হারায় সন্তানদের। দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে।
সেখানেও শিশু মারা গেছে। অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নের ব্যয় হোক, আমরা চাই। যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলব, যুদ্ধ বন্ধ করেন।

অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। আমরা যুদ্ধ চাইনা, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বরং অস্ত্র বানানো এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থ সারা বিশ্বের শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও তাদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হোক, এটাই আমাদের দাবি। আমরাই সেটাই চাই।
শিশুদের মন দিয়ে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি চাই আমাদের শিশুরা লেখাপড়া শিখবে, ছোট্ট সোনা মনিরা তোমরা গুরুজনের কথা মেনে চলবে, বাবা-মায়ের কথা মেনে চলবে, তোমরা লেখাপড়া শিখবে। একটা কথা মনে রাখবে ধন-সম্পদ টাকা-পয়সা কিছুই থাকে না। কিন্তু বিদ্যাটা থাকে, শিক্ষাটা থাকে। এই শিক্ষাটাই হচ্ছে মূল শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের মাঝে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে যে তারা মানুষের মতো মানুষ হবে। ওই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং দেশকে  এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো, আজকে শিশু-কিশোররাই তো স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত, সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে রাসেলের স্মৃতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল (অব.) অশোক কুমার তারার ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।