ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন রাচিন

  • ক্রীড়া ডেক্স
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৫৭১ Time View

ম্যাচ তখনো শেষ হয়নি। শেষ হওয়ার জন্য আসলে অপেক্ষা করার দরকারও ছিল না। শেষের আগেই তো রাচিন রবীন্দ্র আর ডেভন কনওয়ে মিলে ম্যাচের চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন। তখন রাচিনকে নিয়ে নিজের সেই বিখ্যাত উক্তি টুইট করলেন ইয়ান বিশপ, ‘রাচিন রবীন্দ্র, রিমেম্বার দ্য নেইম…।

আর কেউ মনে না রাখুক, ২৩ বছরের এই তরুণকে মনে রাখবে ইংলিশরা। অন্তত আজ ম্যাচের একাদশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তো অবশ্যই। কনওয়ের সঙ্গে ২৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইংলিশদের মাটিতে নামিয়ে এনে নিউজিল্যান্ডের জন্য ম্যাচটা জিতেছেন রাচিন। ১২৩ রানের ইনিংসের সঙ্গে বোলিংয়ে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার গেছে রাচিনের কাছে।রাচিন কতটা অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন, সেটা একটু ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

১২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তাঁর জায়গা হয়েছে লোয়ার মিডল অর্ডারে। সেই তাঁকেই কি না বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনে নামিয়ে দেওয়া হলো। তাঁরও বিশ্বকাপের ‘অভিষেক ম্যাচ’।তাও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে। যে দলে নতুন বলে ঝড় তোলেন মার্ক উডের মতো ফাস্ট বোলার।
রাচিন অবশ্য ওপরে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সময় সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে সেটাই জানিয়েছিলেন। যদিও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে রাচিন ওপরে ব্যাটিং করতেন।

জাতীয় দলেও সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সুযোগটাও কত দ্রুতই না এসে গেল। কী দারুণভাবেই না তিনি সেটা লুফে নিলেন। রাচিনের ওপরে ব্যাটিংয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল প্রস্তুতি ম্যাচে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছিলেন রাচিন। ৭২ বলে ৯৭ রানের ইনিংসে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ওপরে ব্যাটিং করতে তৈরি তিনি।
আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকবার আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখালেন। তাতে ছাইয়ের মতো উড়ে গেল ইংল্যান্ড। ইনিংসটা রাচিনের জন্য আরেক দিক থেকেও বিশেষ। এখন নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেললেও, রাচিন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর মা-বাবা দুজনই ভারতীয়। মা-বাবার দেশে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। স্বপ্ন ছিল সুযোগ পেলে মনে রাখার মতো কিছু করতে চান। প্রথম ম্যাচটাই আপন আলোয় আলোকিত রাচিন।

ইনিংসটা অবিশ্বাস্য ঠেকেছে রাচিনের কাছেও। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেটাই বলছিলেন তিনি, ‘কিছু মুহূর্তে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দারুণ একটা দিন কাটল। বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ডেভনের (কনওয়ে) সঙ্গে ব্যাটিং করা ভাগ্যের ব্যাপার। তার সঙ্গে আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। আমি স্বস্তির মধ্যেই ছিলাম, কারণ ডেভনের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে।’

সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন রাচিন

আপডেট সময় ১১:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

ম্যাচ তখনো শেষ হয়নি। শেষ হওয়ার জন্য আসলে অপেক্ষা করার দরকারও ছিল না। শেষের আগেই তো রাচিন রবীন্দ্র আর ডেভন কনওয়ে মিলে ম্যাচের চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন। তখন রাচিনকে নিয়ে নিজের সেই বিখ্যাত উক্তি টুইট করলেন ইয়ান বিশপ, ‘রাচিন রবীন্দ্র, রিমেম্বার দ্য নেইম…।

আর কেউ মনে না রাখুক, ২৩ বছরের এই তরুণকে মনে রাখবে ইংলিশরা। অন্তত আজ ম্যাচের একাদশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তো অবশ্যই। কনওয়ের সঙ্গে ২৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইংলিশদের মাটিতে নামিয়ে এনে নিউজিল্যান্ডের জন্য ম্যাচটা জিতেছেন রাচিন। ১২৩ রানের ইনিংসের সঙ্গে বোলিংয়ে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার গেছে রাচিনের কাছে।রাচিন কতটা অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন, সেটা একটু ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

১২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তাঁর জায়গা হয়েছে লোয়ার মিডল অর্ডারে। সেই তাঁকেই কি না বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনে নামিয়ে দেওয়া হলো। তাঁরও বিশ্বকাপের ‘অভিষেক ম্যাচ’।তাও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে। যে দলে নতুন বলে ঝড় তোলেন মার্ক উডের মতো ফাস্ট বোলার।
রাচিন অবশ্য ওপরে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সময় সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে সেটাই জানিয়েছিলেন। যদিও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে রাচিন ওপরে ব্যাটিং করতেন।

জাতীয় দলেও সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সুযোগটাও কত দ্রুতই না এসে গেল। কী দারুণভাবেই না তিনি সেটা লুফে নিলেন। রাচিনের ওপরে ব্যাটিংয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল প্রস্তুতি ম্যাচে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছিলেন রাচিন। ৭২ বলে ৯৭ রানের ইনিংসে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ওপরে ব্যাটিং করতে তৈরি তিনি।
আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকবার আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখালেন। তাতে ছাইয়ের মতো উড়ে গেল ইংল্যান্ড। ইনিংসটা রাচিনের জন্য আরেক দিক থেকেও বিশেষ। এখন নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেললেও, রাচিন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর মা-বাবা দুজনই ভারতীয়। মা-বাবার দেশে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। স্বপ্ন ছিল সুযোগ পেলে মনে রাখার মতো কিছু করতে চান। প্রথম ম্যাচটাই আপন আলোয় আলোকিত রাচিন।

ইনিংসটা অবিশ্বাস্য ঠেকেছে রাচিনের কাছেও। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেটাই বলছিলেন তিনি, ‘কিছু মুহূর্তে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দারুণ একটা দিন কাটল। বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ডেভনের (কনওয়ে) সঙ্গে ব্যাটিং করা ভাগ্যের ব্যাপার। তার সঙ্গে আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। আমি স্বস্তির মধ্যেই ছিলাম, কারণ ডেভনের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে।’