ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস; কেন বারবার দূর্ঘটনা.?

অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসেই কেন বারবার দুর্ঘটনা। নামে কি রয়েছে আসল বিপত্তি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস আগে ওড়িশাতেই দুর্ঘটনার সাক্ষী। ৪৬ বছরে ৫ বার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এই ট্রেনের!

ভারতের সবথেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনাগুলোকে ছাপিয়ে যাবে এই বিপর্যয়। শুক্রবার রাত বিভীষিকার রাত৷ সকালের ছবি অবাক করে দিয়েছে গোটা ভারতবাসীকে কিন্তু কেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসই বারবার এমন বিপদের মুখে পড়ে? গত ২৪ বছরে এত বড় ট্রেন দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয়নি ভারত। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো লাইনে পড়ে রয়েছে ট্রেনের বগি।

২০০৯ সালে ওড়িশাতেই বেলাইন হয়ে গিয়েছিল করমণ্ডল। এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি তবে শুধু এটাই শেষ নয় আরও ভয়ঙ্কর রেকর্ড রয়েছে। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল করমণ্ডল উপকূল নামে পরিচিত। বলা হয় এই ট্রেনের যাত্রা সেদিকেই তাই এর নাম রাখা হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে সোজা চেন্নাই ১৬৫৯ কিমি দুরত্ব ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে কভার করে এই ট্রেন। এক্সপ্রেস ট্রেন হল এমন এক ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন যা তার উৎপত্তিস্থল এবং গন্তব্য স্টেশনগুলির মধ্যে অল্প সংখ্যক যাত্রাবিরতি দেয়।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার রেকর্ডও সেই লেভেলে ২০০৯ সালের কথা অনেকে জানলেও জানেন কি ২০০২ সালে প্রথম দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১৫ মার্চ ২০০২ (দুপুর ২.৪০) তামিলনাড়ুর নেল্লোরে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস এক্সপ্রেসের ৭টি কামরা বেলাইন হয়েছিল। সে বার ১০০ জন যাত্রী জখম হয়েছিলেন। জানা যায় চেন্নাই ও বিজয়ওয়াড়ার মাঝখানে থাকা রেলওয়ে ট্র্যাকের গন্ডগোলের জন্য দুর্ঘটনা।

এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ওড়িশার জাজপুর কেওনঝড় রোডের কাছে বেলাইন হয় এই ট্রেন। কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ঠিক ৩ বছর পর আবারও বিপর্যয়। ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি লিঙ্গরাজ স্টেশনের কাছে চেন্নাই-হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় আগুন লেগেছিল। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় করমণ্ডলের ধাক্কায় ৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছিল।

গ্যাপটা লক্ষ্য করুন ঠিক ৩ বছর পর ২০১৫ সালে ১৮ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের নিদাদাভলু স্টেশনে আগুন ধরে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ট্রেনটির দু’টি বগি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আর এবার ৮ বছর পর এতটা মারাত্মক ঘটনা৷ এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে। অনেকেই বলছেন এবারের দুর্ঘটনা ভারতের সবথেকে বড় ট্রেন অ্যাক্সিটেন্ড ১৯৮১ বা ১৯৯৫ এর ট্রেন দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে যাবে না তো?

সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস; কেন বারবার দূর্ঘটনা.?

আপডেট সময় ১২:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসেই কেন বারবার দুর্ঘটনা। নামে কি রয়েছে আসল বিপত্তি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস আগে ওড়িশাতেই দুর্ঘটনার সাক্ষী। ৪৬ বছরে ৫ বার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এই ট্রেনের!

ভারতের সবথেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনাগুলোকে ছাপিয়ে যাবে এই বিপর্যয়। শুক্রবার রাত বিভীষিকার রাত৷ সকালের ছবি অবাক করে দিয়েছে গোটা ভারতবাসীকে কিন্তু কেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসই বারবার এমন বিপদের মুখে পড়ে? গত ২৪ বছরে এত বড় ট্রেন দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয়নি ভারত। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো লাইনে পড়ে রয়েছে ট্রেনের বগি।

২০০৯ সালে ওড়িশাতেই বেলাইন হয়ে গিয়েছিল করমণ্ডল। এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি তবে শুধু এটাই শেষ নয় আরও ভয়ঙ্কর রেকর্ড রয়েছে। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল করমণ্ডল উপকূল নামে পরিচিত। বলা হয় এই ট্রেনের যাত্রা সেদিকেই তাই এর নাম রাখা হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে সোজা চেন্নাই ১৬৫৯ কিমি দুরত্ব ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে কভার করে এই ট্রেন। এক্সপ্রেস ট্রেন হল এমন এক ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন যা তার উৎপত্তিস্থল এবং গন্তব্য স্টেশনগুলির মধ্যে অল্প সংখ্যক যাত্রাবিরতি দেয়।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার রেকর্ডও সেই লেভেলে ২০০৯ সালের কথা অনেকে জানলেও জানেন কি ২০০২ সালে প্রথম দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১৫ মার্চ ২০০২ (দুপুর ২.৪০) তামিলনাড়ুর নেল্লোরে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস এক্সপ্রেসের ৭টি কামরা বেলাইন হয়েছিল। সে বার ১০০ জন যাত্রী জখম হয়েছিলেন। জানা যায় চেন্নাই ও বিজয়ওয়াড়ার মাঝখানে থাকা রেলওয়ে ট্র্যাকের গন্ডগোলের জন্য দুর্ঘটনা।

এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ওড়িশার জাজপুর কেওনঝড় রোডের কাছে বেলাইন হয় এই ট্রেন। কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ঠিক ৩ বছর পর আবারও বিপর্যয়। ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি লিঙ্গরাজ স্টেশনের কাছে চেন্নাই-হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় আগুন লেগেছিল। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় করমণ্ডলের ধাক্কায় ৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছিল।

গ্যাপটা লক্ষ্য করুন ঠিক ৩ বছর পর ২০১৫ সালে ১৮ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের নিদাদাভলু স্টেশনে আগুন ধরে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ট্রেনটির দু’টি বগি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আর এবার ৮ বছর পর এতটা মারাত্মক ঘটনা৷ এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে। অনেকেই বলছেন এবারের দুর্ঘটনা ভারতের সবথেকে বড় ট্রেন অ্যাক্সিটেন্ড ১৯৮১ বা ১৯৯৫ এর ট্রেন দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে যাবে না তো?