দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ইস্যুতে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও সৈকতে গিয়ে সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেককে।
এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফোন করেছিলেন।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার উপকূলে শনিবার (১৩ মে) দুপুর থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
তবে মোখার প্রভাবে সাগরের উত্তাল ঢেল দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন ৩০ হাজারের বেশি উৎসুক জনগণ। তাদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিতে টহল দেয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে টহল জোরদার করেন বিজিবি সদস্যরা। কিন্তু সরিয়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পর আবারও সৈকতে নেমে যান পর্যটকরা। যারা মোবাইলে লাইভ দেয়ার পাশাপাশি ছবি তুলতে থাকেন। আবার অনেকে অহেতুক সমুদ্রের পানিতে নেমে পড়েন। বিচকর্মী মাইকিং করলেও কোনো পাত্তাই দেন না উৎসুক জনতা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া আছে। পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা পাঠানো আছে। এছাড়া মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত খালি করা হয়েছে।
২০ লাখ নগদ টাকা ও ২০০টন চাল এবং ১৪ টন বিস্কুট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এ পর্যন্ত, জানান তিনি।