বুড়ো বয়সে এসে কী তবে নিজের ব্যাটিং স্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসলেন মুশফিকুর রহিম? আগের ম্যাচেও দেখা গেছে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে। তবে ওই ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আর মুশফিককে আউট করতে পারেননি কোনো আইরিশ বোলার।
বরং, সফরকারী আয়ারল্যান্ড বোলারদের উইকেটের চারদিকে পিটিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। পেছনে ফেলে দিলেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে গ্রাহাম হিউমের কাছ থেকে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিক। সে সঙ্গে বসে গেলেন রেকর্ডের পাতায়। ৬০ বলে ১৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় তিন অংকের ঘরে পৌঁছালেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের এটা ৯ম সেঞ্চুরি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলে। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব।
সেঞ্চুরির আগে আরও একটি গৌরবময় মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ৫৫ রানে পৌঁছার পরই তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে পূরণ করে ফেলেন ৭ হাজার রানের মাইলফলক। এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে বাংলাদেশের রানকে আইরিশদের নাগালের বাইরে নিতে শুরু করেন বিধ্বংসী ব্যাটিং।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। যে কারণে দ্রুত সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান। শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। প্রথম বলেই ইয়াসির আলি আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় বলে তাসকিন এক রান নিয়ে দেন মুশফিককে। পরের বলেই ২ রান। এরপর মারলেন বাউন্ডারির। পঞ্চম বলে আবারও নিলেন ২ রান। শেষ বলে ১ রান নিয়েই পৌঁছে যান দ্রুততম সেঞ্চুরির মাইলফলকে।
সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালেই ২ বার বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথমে মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে, এরপর একই বছর অক্টোবরে, একই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৬৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমের এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৬৯ বলে। করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, ২০১৫ সালের এপ্রিলে।
বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৪টি সেঞ্চুরি
৬০ বল-মুশফিকুর রহিম, প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড (ভেন্যু: সিলেট, ২০২৩)
৬৩ বল-সাকিব আল হাসান, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে (ভেন্যু: বুলাওয়ে, ২০০৯)
৬৮ বল-সাকিব আল হাসান, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে (ভেন্যু: মিরপুর, ২০০৯)
৬৯ বল-মুশফিকুর রহিম, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (ভেন্যু: মিরপুর, ২০১৫)