নওগাঁয় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩ শিক্ষিকা কে যৌন নীপিড়নের অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভুগী শিক্ষিকারা এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের অভিযোগ দিয়েছে । তবে অভিযোগ দাখিলের এক মাস পার হলেও রহস্য জনক কারণে তদন্ত না হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবীতে মানব বন্ধন করেছে অভিভাবক ও এলাকা বাসী । অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে দোষ প্রমান হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিক্ষা কর্মকর্তার ।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকরাজা প্রাথমিক বিদ্যালয় ।গত এক মাস ধরে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এসে ঘুরে যাচ্ছে ক্লাস না হওয়ায় ।এক মাস ধরে অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন । বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন নারী শিক্ষিকা ।৩ নারী শিক্ষিকার অভিযোগ প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন তাদের যৌন হেন্থা করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে । এসবের প্রতিকার চেয়ে গত ৫ ফ্রেবুয়ারী সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দেয় ভুক্তভুগী শিক্ষিকরা । কিন্ত এক মাসেও এর কোন তদন্ত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ সহ তার বিচার দাবীতে সোমবার মানব বন্ধন করে অভিভাবকরা ।একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে জানায়, প্রধান শিক্ষক স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে টাকা নেন । জন্ম নিববন্ধন জালিয়াতি করে ভর্তি করানোর ফলে শিক্ষার্থীদের বয়স কম দেখানো হয় ।
ভুক্তভুগী শিক্ষিকাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক প্রস্থাবে সাড়া না দিলে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে তাদের । শিক্ষকের চারিত্রিক বিষয় নিয়ে উর্ধ্বতন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তদন্ত হচ্ছে না বলে দাবী শিক্ষিকাদের ।
ভুক্ত ভুগী শিক্ষিকারা যে অভিযোগ করেছে তা সটিক নয় বলে দাবী অভিযুক্ত শিক্ষকের । প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, আমি শিক্ষিকাদের নিয়ন মতো চলতে বলি তাই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে ।
এদিকেরাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । তবে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন শিক্ষা কর্মমকর্তা । মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নওগাঁ সাফিয়া আখতার অপু বলেন আমরা একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি তারা তদন্ত করছে । আর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মো: ইউসুফ বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পর তা তদন্ত করতে বলেছি । কেন এতো দেরী হলো তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
প্রথম থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত সাড়ে ৩ শ শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
শিক্ষকের কু রচি পুর্ন আচড়নে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না