জনগণ যাকে চাইবে তারাই সরকার গঠন করবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার চলবে বলে জানিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার রাজধানীর গুলশানে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমাকে আল্লাহ যদি জীবন দেয় সেই নির্বাচন (আগামী নির্বাচন) পর্যন্ত, আমি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখে যেতে চাই। এটাই আমার চরম প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, আমি সব সরকারবিরোধী দলকে আহ্বান জানাবো-আপনারা আসেন, আপনারা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পরামর্শ দিন। সেই পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের কাছে বলবেন, সরকারের কাছে বলবেন। তারপর সেই পরামর্শ সংবিধানের মধ্য থেকে যতটুকু সরকার পারবে একোমোডেশন করতে, জনগণের রায়কে সঠিক ভাবে প্রতিফলন হওয়ার পথে যাতে কোনোরকম অন্তরায় না থাকে, কোনোরকম প্রশ্ন না হয় সেভাবেই যেন নির্বাচনটি হয়।
নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশবাসীর প্রতি আমার একটি অনুরোধ থাকবে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী জনগণই এ রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধানের ৭ ধারা অনুযায়ী সেখানে পরিষ্কার বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। তাহলে জনগণে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের ভোটাধিকার নিজেকে প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের মতো করে সরকার গঠন করতে হবে।
আগামীতে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলকে নির্বাচিত করবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে, আমার সবচেয়ে বড় আকাঙ্খা, যেহেতু আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমার এই আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়। যে সরকার বা যাকে নির্বাচিত করুক অবশ্যই তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হয়। যেহেতু স্বাধীনতা এনেছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, দেশ শাসিত হোক মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারাই। এটাই আমার চরম আকাঙ্খা। জনগণ যাকে চাইবে তারাই সরকার গঠন করবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার চলবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, এই ১৪ বছর সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে। ১৪ বছর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের ধারাবাহিকতা চলছে। একটি উন্নয়নের মাইলফলক এখন বাংলাদেশ। এখন সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। সেই ধারাবাহিকতা যেন বজায় রাখে।