ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হচ্ছেন চলচ্চিত্রকার ফারুকী Logo অস্ট্রেলিয়াকে ১৪০ রানে গুটিয়ে দিয়ে পাকিস্তান জয় Logo পদ্মা নদীর জেগে ওঠা চরের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১,আহত১৫ Logo আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের, সন্ধ্যায় শপথ Logo ঘোষণা দিয়ে দেখা নেই আওয়ামী লীগের জিরো পয়েন্ট শিক্ষার্থীরা দখলে Logo ভারতে শুটিং সেটে আহত শাকিব খান Logo স্পেনে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ািই বিক্ষোভ Logo জয় বাংলা স্লোগান ও হাসিনা দেশে ফিরবে বলায় এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ Logo সিলেটে নিখোঁজ মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার Logo বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও লুটপাট

দ্বীপাঞ্চল মাতারবাড়ি এখন সোনার খনি!

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এক লাখ টাকার জমির দাম মাত্র তিন বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্প নির্মাণে মাতারবাড়িতে জমির মূল্য এখন আকাশছোঁয়া।

কোটি টাকা খরচ করেও শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা না পাওয়ায় সোনার খনি নামে পরিচিতি পাচ্ছে এ দ্বীপাঞ্চল।

সাগরের পানিতে ডুবে থাকা, কিংবা লবণের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত এসব জমির দাম এখন কোটি টাকার বেশি। অথচ সমুদ্রতীরবর্তী এ এলাকায় একসময় কয়েক লাখ টাকায় পাওয়া যেত এর চেয়ে বেশি জায়গা।

কয়েক বছর ধরে এখানে নানা ধরনের মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় জায়গার দাম আকাশছোঁয়া।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্প আসার পর থেকেই এ অঞ্চলে জমির দাম রাতারাতি বেড়ে যায়।

কক্সবাজার জেলার দ্বীপাঞ্চল মহেশখালীর একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়ি। এখানে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আগেই অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ১হাজার ৬০০ একর লবণ মাঠ। এখন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা হবে আরও প্রায় এক হাজার একর জমি।

প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পর থেকে জমির দাম বাড়ছে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানে জমির দাম দেড় থেকে দুইগুণ বেড়ে গেছে।

এদিকে মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি জমির দরকার এলপিজি এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য। বিদেশ থেকে জাহাজে করে আমদানি করা এলপিজি এবং এলএনজি রাখা হবে মাতারবাড়িতেই। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের টার্মিনাল তৈরির জন্য জায়গা খুঁজছে বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, এখানে গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনালসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কারণে সোনার কোনো ছিটেফোঁটা না থাকলেও মহেশখালীর মাতারবাড়ি অঞ্চল এখন সোনার খনি। এতে এ অঞ্চলের চিত্র পরিবর্তনের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

২৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মাতারবাড়িতে লোকসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। লবণ উৎপাদন এবং মাছ ধরাই এখানকার মানুষের মূল পেশা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হচ্ছেন চলচ্চিত্রকার ফারুকী

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

দ্বীপাঞ্চল মাতারবাড়ি এখন সোনার খনি!

আপডেট সময় ১২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এক লাখ টাকার জমির দাম মাত্র তিন বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্প নির্মাণে মাতারবাড়িতে জমির মূল্য এখন আকাশছোঁয়া।

কোটি টাকা খরচ করেও শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা না পাওয়ায় সোনার খনি নামে পরিচিতি পাচ্ছে এ দ্বীপাঞ্চল।

সাগরের পানিতে ডুবে থাকা, কিংবা লবণের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত এসব জমির দাম এখন কোটি টাকার বেশি। অথচ সমুদ্রতীরবর্তী এ এলাকায় একসময় কয়েক লাখ টাকায় পাওয়া যেত এর চেয়ে বেশি জায়গা।

কয়েক বছর ধরে এখানে নানা ধরনের মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় জায়গার দাম আকাশছোঁয়া।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্প আসার পর থেকেই এ অঞ্চলে জমির দাম রাতারাতি বেড়ে যায়।

কক্সবাজার জেলার দ্বীপাঞ্চল মহেশখালীর একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়ি। এখানে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আগেই অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ১হাজার ৬০০ একর লবণ মাঠ। এখন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা হবে আরও প্রায় এক হাজার একর জমি।

প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পর থেকে জমির দাম বাড়ছে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানে জমির দাম দেড় থেকে দুইগুণ বেড়ে গেছে।

এদিকে মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি জমির দরকার এলপিজি এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য। বিদেশ থেকে জাহাজে করে আমদানি করা এলপিজি এবং এলএনজি রাখা হবে মাতারবাড়িতেই। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের টার্মিনাল তৈরির জন্য জায়গা খুঁজছে বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, এখানে গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনালসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কারণে সোনার কোনো ছিটেফোঁটা না থাকলেও মহেশখালীর মাতারবাড়ি অঞ্চল এখন সোনার খনি। এতে এ অঞ্চলের চিত্র পরিবর্তনের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

২৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মাতারবাড়িতে লোকসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। লবণ উৎপাদন এবং মাছ ধরাই এখানকার মানুষের মূল পেশা।