ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ হাসি কার আর্জেন্টিনা নাকি ফ্রান্স ?

  • ক্রীড়া ডেক্স:
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৫৯৬ Time View

অবশেষে সামনে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দীর্ঘ প্রায় এক মাস এই দিনটির জন্যই অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন কোটি ফুটবলভক্ত। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। এই লড়াইয়ে কে হাসবে শেষ হাসি? কার হাতে উঠবে সোনালি রঙের ঝাঁ চকচকে ট্রফিটা?

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স দুই দলেরই সামনে তৃতীয় বিশ্বকাপের হাতছানি। এর আগে আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সবশেষ বিশ্বকাপটিও (২০১৮) নিয়েছে নিজেদের দখলে।

অর্থাৎ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের বিরল সুযোগ। আর্জেন্টিনার সুযোগ দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর।

সবশেষ কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি ছুঁতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর তাদের ফুটবলে জন্ম হয়েছে আরেক কিংবদন্তির। কিন্তু তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা ফুটবলার হয়েও বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা বহুদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবারই তার সামনে শেষ সুযোগ। এবারের বিশ্বকাপই শেষ, ঘোষণাটা যে দিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন খুদেরাজ!

এর আগে চারটি বিশ্বকাপ খেলে একবার শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মেসি। ২০১৪ সালের সে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ের এক গোলে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভাঙে।

গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স এবং ১৯ বছর বয়সী এমবাপের কাছে হেরে। রোমাঞ্চ ছড়ানো সে ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছিল ৪-৩ গোলে।

এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসিদের সামনে সেই ফ্রান্স আর এমবাপে। ২৩ বছর বয়সী এমবাপে এখন আরও পরিণত। এবারের বিশ্বকাপে মেসির সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে যৌথভাবে আছেন তিনিও।

ফ্রান্স ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে টানা দুই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতেই ব্যর্থ হয়েছিল।সেই দলটিই ১৯৯৮ সালে এসে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার নিয়ে গত সাত বিশ্বকাপের চারটিতেই ফাইনাল খেলেছে তারা। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ফ্রান্সের ফুটবল এখন কোথায় দাঁড়িয়ে!

সোনালি প্রজন্মের ফ্রান্স টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ সহজে হাতছাড়া করতে চাইবে না নিশ্চয়ই। টানা দুই ট্রফি হাতে নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেকে ওপরে তুলে ধরতে চাইবেন এমবাপেও।

অন্যদিকে মেসির জন্য এবারই শেষ সুযোগ। শেষটায় এসে জীবনের সব অর্জন এক জায়গায় ঢেলে দিতে চাইবেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। সতীর্থরাও পণ করেছেন, কিংবদন্তিকে বিশ্বকাপ ট্রফি দিয়েই ফেয়ারওয়েল দেবেন তারা, লড়বেন রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে।

ফাইনালে তাই জমজমাট আর রোমাঞ্চকর এক লড়াই অপেক্ষা করছে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য, আগাম বলে দেওয়াই যায়!

ট্যাগস

শেষ হাসি কার আর্জেন্টিনা নাকি ফ্রান্স ?

আপডেট সময় ০৫:১৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

অবশেষে সামনে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দীর্ঘ প্রায় এক মাস এই দিনটির জন্যই অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন কোটি ফুটবলভক্ত। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। এই লড়াইয়ে কে হাসবে শেষ হাসি? কার হাতে উঠবে সোনালি রঙের ঝাঁ চকচকে ট্রফিটা?

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স দুই দলেরই সামনে তৃতীয় বিশ্বকাপের হাতছানি। এর আগে আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সবশেষ বিশ্বকাপটিও (২০১৮) নিয়েছে নিজেদের দখলে।

অর্থাৎ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের বিরল সুযোগ। আর্জেন্টিনার সুযোগ দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর।

সবশেষ কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি ছুঁতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর তাদের ফুটবলে জন্ম হয়েছে আরেক কিংবদন্তির। কিন্তু তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা ফুটবলার হয়েও বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা বহুদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবারই তার সামনে শেষ সুযোগ। এবারের বিশ্বকাপই শেষ, ঘোষণাটা যে দিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন খুদেরাজ!

এর আগে চারটি বিশ্বকাপ খেলে একবার শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মেসি। ২০১৪ সালের সে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ের এক গোলে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভাঙে।

গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স এবং ১৯ বছর বয়সী এমবাপের কাছে হেরে। রোমাঞ্চ ছড়ানো সে ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছিল ৪-৩ গোলে।

এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসিদের সামনে সেই ফ্রান্স আর এমবাপে। ২৩ বছর বয়সী এমবাপে এখন আরও পরিণত। এবারের বিশ্বকাপে মেসির সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে যৌথভাবে আছেন তিনিও।

ফ্রান্স ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে টানা দুই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতেই ব্যর্থ হয়েছিল।সেই দলটিই ১৯৯৮ সালে এসে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার নিয়ে গত সাত বিশ্বকাপের চারটিতেই ফাইনাল খেলেছে তারা। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ফ্রান্সের ফুটবল এখন কোথায় দাঁড়িয়ে!

সোনালি প্রজন্মের ফ্রান্স টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ সহজে হাতছাড়া করতে চাইবে না নিশ্চয়ই। টানা দুই ট্রফি হাতে নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেকে ওপরে তুলে ধরতে চাইবেন এমবাপেও।

অন্যদিকে মেসির জন্য এবারই শেষ সুযোগ। শেষটায় এসে জীবনের সব অর্জন এক জায়গায় ঢেলে দিতে চাইবেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। সতীর্থরাও পণ করেছেন, কিংবদন্তিকে বিশ্বকাপ ট্রফি দিয়েই ফেয়ারওয়েল দেবেন তারা, লড়বেন রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে।

ফাইনালে তাই জমজমাট আর রোমাঞ্চকর এক লড়াই অপেক্ষা করছে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য, আগাম বলে দেওয়াই যায়!