নওগাঁর হাটে বেড়েছে ধানের সরবরাহ |আর সরবরাহ বাড়ায় ৩ তিন দিনের ব্যবধানে মন প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমে ধান কিনছেন মিলাররা | চাষীদের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় কাঙ্খিত দর থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা |
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রান্তিক চাষিরা বিক্রির জন্য হাটে তোলেন উৎপাদিত ধান। এতে গেল সপ্তাহ থেকে নওগাঁর সরস্বতী পুর হাটে যোগান বেড়েছে সব ধরনের ধান। ধানের জোগান বাড়াই ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে চাষীদের । তিন দিনের ব্যবধানে মন প্রতি দর কমেছে আশি থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত | উত্তর গ্রাম এলাকা থেকে ধান বিকাতে আসা জফের উদ্দিন, দারসা এলাকার কৃষক ময়েজ উদ্দিন জানান, এবার সার সহ কৃষি খরচ অনেক বেশি । তাই প্রথম পর্যায়ে ধানের বাড়তি দরে কিছুটা পোসাচ্ছিল । কিন্ত গত ক দিনের ব্যাবধানে আবারো দর কমায় লস হচ্ছে ।
চাষীদের মধ্যে আরো বেশ কজন জানান হাটে স্বর্ণা >5 জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে 1200 থেকে 1220 টাকা | ধান থেকে চাল বের করে খরচ পড়ছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা |কিন্তু সেই চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় | ধান থেকে চালের ফারাক রয়েছে অন্তত দশ টাকা | কৃষকরা বলছেন হাটে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত দর বেঁধে দিয়ে ধান কেনায় সব লাভ তারা করেন ।
এদিকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী বলছেন ধানের যোগান বাড়ায় কম দরে কিনছেন তারা । অপর ব্যবসায়ী শাহজাহান জানান, এসি আই বা বড় প্রতিষ্টান গুলো ধানের দর কমে দিয়েছে তাই কম দরে কিনতে হচ্ছে তাদের ।
চলতি মৌসুমে জেলায় আমনের আবাদ হয়েছে এক লাখ 98 হাজার হেক্টর জমিতে | আর ধান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রার ধরা হয়েছে সাড়ে নয় লাখ মেট্রিক টন |
হাটে স্বর্ণা -৫ -1220টাকা, নাজিরশাইল ১550শ টাকা, কাটারিভোগ ১৬৫০ টাকা গোল্ডেন আতপ ১৯০০ টাকা সুগন্ধি -৯০- 1900 টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে ।